বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন

পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন নওগাঁর পত্নীতলার চারটি ইউনিয়নের ফলাফল স্থগিত; গ্রেপ্তার ৪

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২২
  • ১০৬ Time View

 

সজিব হোসেন নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ঘোষনগর ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ শেষে গণনা না করে দুটি কেন্দ্রের ব্যালট ও সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে রাস্তা অবরোধ করেন বিক্ষুপ্ত জনতা। এতে অবরোধকারি পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অবরোধকারিদের উপর পুলিশ গুলি বর্ষণ করেন। এ সময় পত্নীতলা থানার ওসি’র ব্যবহ্নত সরকারিসহ পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে পুড়িয়ে দিয়েছে হামলাকারীরা। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। ৫ম ধাপের ইউপি নির্বাচনে বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার ঘোষনগর ইউনিয়নের কমলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ঘোষনগর উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের ব্যালট ও মালামাল নিয়ে ফেরত আসার পথে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই দুই কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছে।

চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারজানা আক্তার, ওই কেন্দ্রে প্রতিদ্বিন্দ্বীতাকারী ইউপি সদস্য প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা এ হামলা চালায় বলে জানা গেছে। চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফারজানা চৌধুরী ও কয়েকজন ইউপি সদস্য প্রার্থী বলেন, ভোট গণনা না করেই ব্যালট ও সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তাই বিক্ষুপ্ত জনতা এ ঘটনা ঘটায়। তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা এ ধরণের হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। পুলিশের ছোঁড়া রাবার বুলেটের আঘাতে অন্তত ২০ জন মানুষ আহত হয়েছে। এদের মধ্যে শিশু ও নারীও রয়েছে। অন্যদিকে একই ভাবে ভোট গণনা শেষে ফলাফল কেন্দ্রে ঘোষণা না করে উপজেলার পত্নীতলা সদর ইউনিয়নের মথুরাপুর, কৃষ্ণুপুর ইউনিয়নের পানিওড়া ও আকবর ইউনিয়নের মান্দাইন কেন্দ্রেও পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় জনতার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ওই তিনটি কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছে।

প্রতিদ্বিন্দ্বী চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রর্থী এবং স্থানীয় জনগণের অভিযোগ, ভোট গণনা না করেই ব্যালট ও মালামাল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গণনা না করে ব্যালট ও মালামাল নিতে জনগণ বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এতে পুলিশ গুলি বর্ষণ করে। পত্নীতলা সদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ওবায়দুল ইসলাম বলেন, এখানে নৌকার প্রার্থীর চেয়ে আমি প্রায় ১ হাজার ভোটে এগিয়ে আছি। নৌকার প্রার্থীকে জিতিয়ে দেওয়ার জন্য ব্যালট বাক্স নিয়ে গিয়ে উপজেলা সদরে ফলাফল ঘোষণার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। ভোটের ফলাফল স্থগিত থাকা একটি করে কেন্দ্র ছাড়া বাঁকি কেন্দ্রগুলোতে কৃষ্ণপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম এগিয়ে আছেন। আকবর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সুলতান মাহমুদ এগিয়ে আছেন। নওগাঁ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বলেন, পত্নীতলার উপজেলার চারটি ইউনিয়নের পাঁচটি ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষের কারণে ওই সব ইউনিয়নের ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছে। ওই সব কেন্দ্রে পুনরায় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে ভোট নেওয়া হবে।

এরপর ওই চারটি ইউনিয়নের ফলাফল ঘোষণা হবে। নওগাঁর পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া বলেন, দুটি পুলিশ ভ্যানে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি গাড়ি পুলিশের রিকুইজিশন করা। বেশ কিছু ব্যালট বাক্সও ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। হামলায় পুলিশের বেশ কিছু সদস্য আহত হয়েছেন। সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর এবং ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পত্নীতলাউপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লিটন সরকার বলেন, ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টি ইউনিয়নের ফলাফল ঘোষনা করা হয়েছে।

বাঁকি ৪টি ইউনিয়নের কয়েকটি কেন্দ্রে সংঘর্ষের কারণে ওই সব ইউনিয়নের ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছে। সংঘর্ষে পুলিশে ২টি গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক হারুন অর রশীদ কোন বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি। বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ফলাফল স্থগিত হওয়া পত্নীতলা উপজেলার ওই চারটি ইউনিয়ন ছাড়া বাঁকি সাতটি ইউনিয়নের ফলাফলে দুটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী, তিনটিতে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বিন্দ্বীতা করা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এবং দুটিতে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বিন্দ্বীতা করা বিএনপি নেতা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/৬ই জানুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৬:২৯

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit