বাদল আহাম্মদ খান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : তেলে চলা দুটি প্রাইভেটকারে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারের ভেতর থেকে ৯ কেজি গাঁজা ও ১৩০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এসময় গাড়ি দুটির চালকসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। সম্প্রতি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড ও আশুগঞ্জের বগইর এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাঁজা ও ফেন্সিডিল ভর্তি পৃথক দু’টি প্রাইভেটকার আটক করা হয়।
জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, গ্যাস সিলিন্ডারে গাঁজা ও ফেন্সিডিল ভর্তি করা দুটো প্রাইভেটকারই বিজয়নগর উপজেলা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিল। এর মধ্যে গাঢ় নীল রঙের প্রাইভেটকারের সিলিন্ডার থেকে ৯ কেজি গাঁজা উদ্ধার ও এর চালক কাসেমকে আটক করা হয়েছে। সাদা রঙের প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালিয়ে ১৩০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার এবং এর চালক ও সহযোগীসহ দুজনকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, গাঁজা ও ফেন্সিডিল রাখার জন্য দুটো সিলিন্ডারই একই কায়দায় তৈরি করা হয়েছে। বড় সাইজের সিলিন্ডার দুটোর উপুড় করা অংশে ছোট পকেট কাটা রয়েছে। আট ইঞ্চি সাইজের বর্গাকার ওই পকেটের ভেতরে গাঁজা ও ফেন্সিডিল ভর্তি করা হয়। গাঢ় নীল রঙের প্রাইভেটকারটির সিলিন্ডার থেকে ১৩টি গাঁজার প্যাকেট উদ্ধার করা হয়েছে, যার ওজন ৯ কেজি। এছাড়া সাদা রঙের প্রাইভেটকারের সিলিন্ডার থেকে ১৩০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে গত ২৯ ডিসেম্বর বিজয়নগর উপজেলার সাতবর্গ এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি ইজিবাইক থেকে ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার ও দুইজনকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, মাদক পাচারের জন্য ইজিবাইকের ছাদের উপর একটি বিশেষ চেম্বার বানানো হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এমন অভিযোগ পেয়ে ইজিবাইকটি আটকের পর ওই চেম্বারের ভেতর থেকে গাঁজা ভর্তি ১৫টি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়েছে। এসব প্যাকেটে ৩০ কেজি গাঁজা রাখা ছিল। আটককৃতরা হলেন- হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ধর্মগড় সস্তামোড়া এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন (৪৫) ও একই উপজেলার মহনপুর গ্রামের হানিফ মিয়া (২৫)। তাদের বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কিউএনবি/আয়শা/২রা জানুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/রাত ৮:৫৮