আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কম্বোডিয়ায় নতুন করে ‘এফ-১৬’ যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। কম্বোডিয়া জানিয়েছে, থাইল্যান্ডের বাহিনী বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রিয়াহ ভিহিয়ার প্রদেশে ‘এফ-১৬’ যুদ্ধবিমান দিয়ে নতুন করে হামলা চালিয়েছে।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ফ্রেশ নিউজ জানিয়েছে, সকালের দিকে থাই বিমানগুলো নম কমোচ এবং পিক স্বিক এলাকায় বোমাবর্ষণ করে। গত ১২ দিন আগে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৫৫ জন নিহত হয়েছেন।
কম্বোডিয়ার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সংকল্পের সঙ্গে দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং জাতীয় মর্যাদা রক্ষা করে চলবে তাদের বাহিনী। অপরদিকে রয়্যাল থাই আর্মি জানিয়েছে, ৭ ডিসেম্বর সংঘাত পুনরায় শুরু হওয়ার পর থেকে তারা ক্যাসিনো এবং হোটেলসহ আন্তর্জাতিক জালিয়াতি নেটওয়ার্কের ব্যবহৃত ছয়টিরও বেশি ভবন ধ্বংস করেছে।
এছাড়া রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সীমান্ত সংঘাতে থাইল্যান্ড বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করেছে কম্বোডিয়া। হাসপাতালে কম্বোডিয়ার এক সেনা এ হামলার বর্ণনা দিয়েছেন। কম্বোডীয় সেনা কুন ইয়ং বলেছেন, সম্প্রতি তিনি সীমান্তে তার অবস্থান থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। থাই বিমান থেকে হামলার পর শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় তাকে সরে যেতে হয়েছে বলে জানান এ সেনা। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছিল আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে।’
ডিসেম্বরের শুরু থেকে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্ত সংঘর্ষে লিপ্ত। এ সংঘর্ষে দুই দেশে ৪০ জনেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। কয়েক দশকের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দুই দেশের মধ্যে এটিই সবচেয়ে তীব্র লড়াই। কম্বোডিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বান্টি মিঞ্চি প্রদেশে বেশ কয়েকজন সেনা ও পুলিশ হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাই বিমান হামলার পর শ্বাসকষ্টে ভোগার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছে। তারা বলছেন, থাই বিমান থেকে বিষাক্ত পানি ছোড়া হয়েছিল। ওদিকে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রায় প্রতিদিনই দাবি করে আসছে যে, থাই সেনাবাহিনী ‘বিষাক্ত গ্যাস’ ব্যবহার করছে।
এদিকে কম্বোডিয়ার এ অভিযোগ অস্বীকার করে একে ‘ভুয়া খবর’ বলে অভিহিত করেছে থাই কর্তৃপক্ষ। রয়টার্সকে থাই বিমানবাহিনীর মুখপাত্র এয়ার মার্শাল জ্যাকরিত থাম্মভিচাই বলেছেন, তারা কখনই রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেননি।
এর আগে, গত জুলাইয়ে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্ত সংঘর্ষের সময় কম্বোডিয়া সাদা ফসফরাস গোলা ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছিল থাই বাহিনীর বিরুদ্ধে। থাইল্যান্ড তাদের কাছে এ ধরনের অস্ত্র থাকার কথা স্বীকার করেছিল। তবে বলেছিল, আন্তর্জাতিক কনভেনশনের আওতায় এই অস্ত্র রাসায়নিক অস্ত্র হিসাবে গণ্য নয়। সূত্র: দ্য হিন্দু
কিউএনবি /অনিমা/ ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫,/রাত ৮:৩২