লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে দ্রুত বাড়ছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। জীবনযাত্রার পরিবর্তন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও শারীরিক পরিশ্রমের অভাবে এখন প্রতি তিনজনের মধ্যে অন্তত একজন এই সমস্যায় ভুগছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে ফ্যাটি লিভার শরীরকে আরও জটিল নানা রোগের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
লিভার শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি ঠিকমতো কাজ না করলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হতে বাধা সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি শর্করা ভাঙা ও বিপাকক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে যে হরমোনগুলো ভূমিকা রাখে, সেগুলোর কার্যকারিতাও কমে যায়। এর ফলেই একের পর এক স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দেয়। তাই সুস্থ থাকতে লিভারের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
অনেকে লিভার সুস্থ রাখতে কঠোর ডায়েট বা জটিল ডিটক্স ড্রিংকের পথ বেছে নেন। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, দৈনন্দিন জীবনের পরিচিত কিছু পানীয়ও লিভারের স্বাস্থ্যে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। বিশেষ করে শীতকালে উষ্ণ কিছু পানীয় ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে।
গ্রিন টি
ফ্যাটি লিভারের অন্যতম কারণ হলো শরীরে জমে থাকা ফ্রি র্যাডিক্যাল, যা লিভারে প্রদাহ সৃষ্টি করে। গ্রিন টি-তে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ক্যাটেচিন এসব ফ্রি র্যাডিক্যাল নিষ্ক্রিয় করতে সাহায্য করে এবং লিভারের কোষকে সুরক্ষা দেয়। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড এক্সপেরিমেন্টাল মেডিসিন-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমার প্রবণতা কমে।
আদা চা
আদায় রয়েছে চার শতাধিক জৈবসক্রিয় উপাদান ও প্রায় ৪০ ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। *হেপাটাইটিস মান্থলি* জার্নালে প্রকাশিত ২০১৬ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত আদা গ্রহণ করলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমে এবং প্রদাহ হ্রাস পায়। প্রতিদিন গরম চায়ে কয়েক টুকরো আদা দিয়ে পান করলে তা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে লিভার সুস্থ রাখতে সহায়তা করতে পারে।
কফি
কফি নিয়ে মতভেদ থাকলেও বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিমিত মাত্রায় কালো কফি লিভারের জন্য উপকারী হতে পারে। আমেরিকান লিভার ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, কফিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও পলিফেনল লিভারের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত কফি পান করলে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি কমতে পারে।
সূত্র : আনন্দবাজার
কিউএনবি/অনিমা/১৫ ডিসেম্বর ২০২৫,/রাত ১০:২৮