এরপর অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সোহেল রানা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক এস এম সিরাজুল ইসলাম এবং ১৯৭১ সালে হত্যাকাণ্ডের সময় গুলিবিদ্ধ আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন মিন্টু।
আলোচনায় বক্তারা ১৯৭১ সালের সেই ভয়াবহ ঘটনার কথা স্মরণ করেন। ওইদিন পাক হানাদার বাহিনী ট্রেনে করে সান্তাহারে এসে নেমে ধামকুড়ি গ্রামে অভিযান চালায়। তারা একজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৮ জন নিরীহ মানুষকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। এলাকা জনশূন্য হয়ে পড়ায় দিনের পর দিন শহীদদের মরদেহ পড়ে থাকে এবং শিয়ালে সেগুলো ক্ষত-বিক্ষত করে ফেলে। প্রায় ১৫ দিন পর গ্রামবাসীরা শহীদদের অস্থি-অবশেষ সংগ্রহ করে সেখানে সমাহিত করেন।
এই বধ্যভূমিতে পাক সেনাদের গুলিতে শহীদ হন পুলিশ ইন্সপেক্টর শামসুদ্দিন সরদার, নূরুল ইসলাম, আব্দুস সামাদ, এ কে এম আমিনুল ইসলাম দুলাল, এ কে এম এহসানুল ইসলাম মোন্না, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ইব্রাহীম হোসেন খন্দকার, সাহেব পালোয়ান এবং কছির উদ্দিন প্রামাণিক। অনুষ্ঠান শেষে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করা হয়।