আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ক্যাথলিক চার্চের প্রধান ধর্মগুরু পোপ লিও চতুর্দশ বলেছেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে কয়েক দশক ধরে চলমান সংঘাতের ‘একমাত্র’ সমাধান হল ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। সোমবার ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, পোপ হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো বিদেশ সফরে গেছেন চতুর্দশ লিও। প্রথম গন্তব্য তুরস্ক ছেড়ে গতকাল রবিবার লেবাননে পৌঁছান তিনি।
এএফপি জানায়, ইস্তাম্বুল থেকে বৈরুত অভিমুখে যাত্রাকালে পূর্বসূরিদের দেখিয়ে যাওয়া প্রথা অনুযায়ী উড়োজাহাজে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পোপ।
তিনি সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভ্যাটিকান দীর্ঘদিন ধরেই দুই-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন দিয়ে এসেছে। আমরা সবাই জানি, ইসরায়েল এখনো এই সমাধান গ্রহণ করেনি। তবে চলমান সংঘাত নিরসনের ক্ষেত্রে এটাকেই আমরা একমাত্র গ্রহণঅযোগ্য সমাধান হিসেবে বিবেচনা করি।
তিনি বলেন, আমরা ইসরায়েলেরও বন্ধু এবং দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হওয়ার চেষ্টা করছি, যা সবার জন্যই ন্যায়সঙ্গত সমাধানের কাছাকাছি আসতে তাদেরকে সহায়তা করতে পারে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার বরাবরই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করে আসছেন।
ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় মিত্র যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সমর্থনের ইঙ্গিত দেওয়ার পরও নেতানিয়াহু তার অবস্থানে অটল। তুরস্ক সফর নিয়ে আট মিনিটের সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে পোপ লিও বলেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনায় ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ছাড়াও ইউক্রেইন-রাশিয়া সংঘাত নিয়েও তার কথা হয়েছে।
উভয় যুদ্ধের অবসানে তুরস্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেন পোপ। ক্যাথলিক চার্চের প্রধান নির্বাচিত হওয়ার পর তুরস্কই ছিল পোপ লিওর প্রথম বিদেশ সফর।
গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করে রোববার পর্যন্ত তুরস্ক সফর করেন তিনি। সফরকালে পোপ সতর্ক করে বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকা রক্তক্ষয়ী সংঘাত মানবজাতির ভবিষ্যতকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে।
তিনি ধর্মের নামে সহিংসতারও কঠোর নিন্দা করেন। গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান নিয়ে পোপ সাধারণত সবধানী এবং কূটনৈতিক ভাষায় সমালোচনা করলেও চলতি বছর তার সেই সমালোচনা আরও জোরালো হয়েছে।
কিউএনবি/অনিমা/ ০১ ডিসেম্বর ২০২৫,/সকাল ১১:৩১