আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজা, লেবাননসহ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসরায়েল প্রধান নিরাপত্তা হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। স্থানীয় সময় রবিবার (৩০ নভেম্বর) তেহরানে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচির সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রতিবেদনে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, জ্বালানি এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তায় তুরস্ক এবং ইরানের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন বলে তারা।
ফিদান গাজা, লেবানন, সিরিয়া এবং ইসরায়েলি সম্প্রসারণবাদী নীতির উপর উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে উভয় দেশই ‘মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতার জন্য ইসরায়েলকে সবচেয়ে বড় হুমকি’ হিসেবে দেখে। বৈঠকে ফিদান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই তার দায়িত্ব পালন করতে হবে বলে জানান।
এছাড়াও চলমান পারমাণবিক আলোচনার সময় তেহরানের প্রতি আঙ্কারার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ‘অন্যায়’ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইরানকে আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে তার সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে। তিনি রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য তুর্কিয়ের প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেন।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য এবং জ্বালানি শীর্ষ অগ্রাধিকার, এবং আজ আমরা আবার দেখতে পেলাম যে আরও অনেক কিছু করার আছে। তুরস্ক এবং ইরানের মধ্যে দেশগুলির দীর্ঘস্থায়ী সমন্বয়ের কথা উল্লেখ করে। তিনি আরও বলেন, পক্ষগুলি সীমান্ত দক্ষতা উন্নত করতে, সীমান্ত গেটের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে এবং সরবরাহ ও পরিবহন প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছে। আমাদের দেশে বিশাল জনসংখ্যা, ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং উচ্চ বাণিজ্য রয়েছে, তবে আমাদের বাণিজ্য আরও দক্ষ হওয়া দরকার।
তেল আবিব তাদের সম্প্রসারণবাদী নীতির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেছেন ফিদান। গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং তা পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দেন তিনি।
ফিদান ও আরাঘচির মধ্যে বৈঠকে তুরস্ক-ইরান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলাপ হয়। তাছাড়া সিরিয়া, লেবানন এবং পাকিস্তান-আফগানিস্তান চলমান উত্তেজনা নিয়েও আলোচনা করেন দুই নেতা।
কিউএনবি/অনিমা/ ০১ ডিসেম্বর ২০২৫,/সকাল ১১:৩৯