সম্প্রতি ভেনেজুয়েলা ঘিরে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সেপ্টেম্বর থেকে ক্যারিবীয় সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরে একের পর এক নৌকায় বোমা হামলা চালাচ্ছে মার্কিন বাহিনী। অভিযোগ, ওই সব নৌকায় ভেনেজুয়েলা থেকে মাদক পাচার করা হচ্ছে।
এই অভিযোগেই চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে গ্রেফতারের জন্য পাঁচ কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেন ট্রাম্প প্রশাসন। সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ভেনেজুয়েলায় সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি যেকোনো সময় হামলা চালানো হতে পারে বলেও খবরে বলা হয়।
অবশ্য এই উত্তেজনার মধ্যেই মাদুরোর সঙ্গে সরাসরি কথা বলার আগ্রহও প্রকাশ করেন ট্রাম্প। জবাবে ইতিবাচক অবস্থানের কথা জানান মাদুরোও। এর মধ্যে খবর এলো, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরোর টেলিফোনে কথা বলেছেন। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে দুই নেতার সম্ভাব্য এক বৈঠক নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ট্রাম্প প্রথমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই ভেনেজুয়েলায় শাসনব্যবস্থা বদলের কথা বলছিলেন। ২০১৭ সালে ট্রাম্প প্রশাসন মাদুরোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। অভিযোগ, মাদুরো ভেনেজুয়েলার গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্ণ করছেন। এরপর ২০১৯ সালে মাদুরোর পরিবর্তে দেশটির বিরোধী নেতা হুয়ান গুইদোকে বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন ট্রাম্প।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদের শেষ বছরে ট্রাম্প আরও চাপ বৃদ্ধি করেন। তিনি মাদুরোকে গ্রেফতারের জন্য ১ কোটি ৫০ লাখ ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করেন। পাশাপাশি ভেনেজুয়েলার প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির তথ্য চেয়েও বড় অঙ্কের পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ডেমোক্রেটিক দলের নেতা জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হন। বাইডেনের প্রশাসন মাদুরোর বিরুদ্ধে ট্রাম্প ঘোষিত পুরস্কারের অঙ্ক বাড়িয়ে ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার করেন। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরই ওই পুরস্কারের অঙ্ক আরও বাড়িয়ে পাঁচ কোটি করেন ট্রাম্প।