আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফ্রান্সের প্রায় চারজনের মধ্যে তিনজন নাগরিক স্বেচ্ছায় সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) দেশটির সম্প্রচারমাধ্যম বিএফএমটিভিতে প্রকাশিত এক জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।
জরিপের উঠে এসেছে, দেশটির ৭৩ শতাংশ মানুষ স্বেচ্ছায় সামরিক পরিষেবা চালুর একটি কর্মসূচিকে সমর্থন করেন। অন্যদিকে ৯ শতাংশ নাগরিক এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন এবং ১৮ শতাংশ এর বিপক্ষে রয়েছেন।
জরিপে আরও দেখা যায়, ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সীরা এই ধরনের কর্মসূচি চালুর বিষয়ে সবচেয়ে কম আগ্রহী, যাদের মধ্যে ৬০ শতাংশ এর পক্ষে মত দিয়েছেন। অপরদিকে ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রতি ১০ জনের মধ্যে আটজনেরও বেশি এই উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছেন।
গত বছর রাশিয়ার কাছ থেকে দীর্ঘমেয়াদী হুমকির প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এই ধারণাটি প্রস্তাব করেছিলেন। জরিপটি এমন এক সময়ে প্রকাশ করা হলো, যখন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ভার্সেস শহরে অবস্থিত ২৭তম পার্বত্য পদাতিক ব্রিগেড পরিদর্শনে যাবেন। এদিন পরিদর্শনের সময়ই তিনি নতুন স্বেচ্ছাসেবী সামরিক পরিষেবা কর্মসূচি উন্মোচন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে নতুন পরিষেবাটি পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের জন্যই স্বেচ্ছাসেবী হবে। এর জন্য প্রতি মাসে প্রায় ১ হাজার ইউরো বেতন, স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য খাবার এবং বাসস্থান এবং এক বছরের প্রশিক্ষণ যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। লক্ষ্য হল ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি বছর ১০ হাজার তরুণকে স্থলবাহিনীতে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং ২০৩৬ সালের মধ্যে ৫০ হাজার পর্যন্ত তরুণকে প্রশিক্ষণ দেওয়া।
ঐতিহাসিকভাবে, ফ্রান্সে প্রায় দুই শতাব্দী ধরে বাধ্যতামূলক সামরিক পরিষেবা চালু ছিল। ১৯৯৭ সালে জ্যাক শিরাকের উদ্যোগে এটি বিলুপ্ত হয়, যার পরে একটি পেশাদার সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠিত হয়।
সরকারের নোট অনুসারে, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ফ্যাবিয়েন ম্যান্ডনের বক্তব্য সম্পর্কে পরে ব্যাখ্যা উঠে আসে, যিনি বলেছিলেন যে ফ্রান্সের ‘তার সন্তানদের হারানোর সাথে মানিয়ে নেওয়া উচিত’।
কিউএনবি/অনিমা/২৭ নভেম্বর ২০২৫,/রাত ৯:১৯