স্পোর্টস ডেস্ক : ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাজা বলা হয়। তবে লিওনেল মেসি এই প্রতিযোগিতায় এমন এক রেকর্ড গড়ে রেখেছিলেন, যা এ পর্যন্ত রোনালদো তো বটেই, আর কেউই পারেননি। সেই রেকর্ডটা এবার গড়লেন রোনালদোরই পর্তুগাল সতীর্থ ভিতিনিয়া। টটেনহ্যামের বিপক্ষে তার এই রেকর্ড হ্যাটট্রিকে ভর করেই পিএসজি তুলে নিয়েছে ৫-৩ গোলের দারুণ এক জয়। পিএসজি অবশ্য দুইবার পিছিয়ে পড়েছিল। দুবারই জ্বলে উঠেছেন ভিতিনিয়া। তার দুটি দুর্দান্ত শট আর একটি পেনাল্টি পিএসজিকে জয় এনে দেয়। রক্ষণের ভুলে পিএসজি দুই গোল খেয়ে বসে। আগের রাউন্ডে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ২-১ গোলে হারের সময়ও এমন সমস্যা দেখা গিয়েছিল। তবে এদিন দলটি পরে নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং সুযোগ কাজে লাগায়।
ম্যাচের অষ্টম মিনিটে ফাবিয়ান রুইজ বাঁ পায়ে শট নেন। বল একটু বাইরে দিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর খভিচা কভারাতস্কেলিয়ার ঘুরিয়ে মারা শটটাও পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। শুরুটা ছিল প্রাণবন্ত। তবে পার্ক দেস প্রিন্সেসে পিএসজিকে স্তব্ধ করে এগিয়ে যায় ইউরোপাজয়ী টটেনহ্যাম। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে গোলটা করেন রিচার্লিসন। সেই গোলের জবাবটা আসে ভিতিনিয়ার কাছ থেকে। ৪৫ মিনিটে তার গোলে ১-১ গোল নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।ফিরে এসে কোলো মুয়ানি গোল করে টটেনহ্যামকে আবারও এগিয়ে দেন। এবারও পিএসজিকে সমতায় ফেরান ভিতিনিয়া। এরপর ফাবিয়ান রুইজের গোলে ম্যাচে প্রথমবারের মতো এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। উইলিয়ান পাচো এরপর গোল করে পিএসজির জয় নিশ্চিত করেন।
কোলো মুয়ানি ৭২ মিনিটে গোল করে ম্যাচে ফেরার পথ দেখিয়েছিলেন সফরকারীদের। তবে ৭৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে হ্যাটট্রিক পূরণ করে ভিতিনিয়া ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন। ভিতিনিয়া তাতে মেসির রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেন। ২০০৩/০৪ মৌসুম থেকে যখন পাসের হিসেব রাখা শুরু হয়েছে, তার থেকে এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস লিগের এক ম্যাচে হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি ৮০টির বেশি পাস সম্পন্ন করেছেন, এমন খেলোয়াড় স্রেফ মেসিই ছিলেন। সেই তালিকায় নিজের নামটা তুলে ফেলেন ভিতিনিয়া। মেসি যখন পিএসজিতে খেলতেন, তখন তারও সতীর্থ ছিলেন ভিতিনিয়া। এবার মেসির সেই রেকর্ডেও ভাগ বসালেন তিনি। পাঁচ ম্যাচে চার জয় নেওয়ার পর পিএসজি এখন লিগ পর্বের দ্বিতীয় স্থানে আছে। এতে তারা শেষ ষোলোতে সরাসরি ওঠার পথে আছে। টটেনহ্যাম আট পয়েন্ট নিয়ে ১৬তম স্থানে আছে।
কিউএনবি / মহন / ২৭ নভেম্বর ২০২৫ / দুপুর ২:০০