ডেস্ক নিউজ : মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে বিবৃতি দেওয়া শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করার দাবিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে দেশের চারটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদ।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন ডাকসুর জিএস এস এম ফরহাদ, জাকসুর জিএস মো. মাজহারুল ইসলাম, রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার এবং চাকসুর জিএস সাঈদ বিন হাবিব। ছাত্রসংসদগুলো আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে হাসিনার পক্ষে স্বাক্ষরকারী শিক্ষকদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আলটিমেটাম দিয়েছে। অন্যথায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে শেখ হাসিনাকে ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবে ড্রোন, হেলিকপ্টার ও লেথাল অস্ত্র ব্যবহার করে ছাত্র-জনতার ওপর হত্যাযজ্ঞ চালানোর নির্দেশদাতা হিসেবে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই রায়কে ছাত্রসংসদগুলো ‘ন্যায়বিচারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ’ ও ‘শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ’ বলে অভিহিত করেছে।
এর মধ্যেই ‘বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষকবৃন্দ’ নামে একটি বিবৃতিতে শেখ হাসিনার পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্রনেতারা। তারা বলছেন, যে আদালত মানবতাবিরোধী অপরাধী হিসেবে হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে, তার পক্ষে দাঁড়ানো মানে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের প্রতি অবজ্ঞা ও জুলাই বিপ্লবের শহীদ-আহতদের প্রতি চরম অবমাননা।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষকদের ওই বিবৃতিতে ১০০১ জনের স্বাক্ষরের দাবি করা হলেও প্রকাশিত তালিকায় মাত্র ৬৫৯ জনের নাম রয়েছে। এ ছাড়া অনেক শিক্ষককে না জানিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে তাদের নাম যুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট সব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দ্রুত তদন্ত করে দোষী শিক্ষকদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছে ছাত্রসংসদগুলো। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, হাসিনার পক্ষে অবস্থান নেওয়া শিক্ষকদের সব ক্লাস-পরীক্ষা বয়কট করতে এবং তাদের সামাজিক ও একাডেমিকভাবে প্রতিহত করতে।
কিউএনবি/আয়শা/১৮ নভেম্বর ২০২৫,/সন্ধ্যা ৬:৪০