মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ১৮ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে আমন ধানে চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ হাজার ১৪৮ হেক্টর জমিতে আমন ধানের উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে জিরাশাইল ধানের দাম কৃষকেরা না পাওয়ায় জিরাশাইল ধানের রোপন কমেছে। এর মধ্যে প্রতি বছর আবাদী জমি কমে যাচ্ছে। নতুন নতুন জাতের ধানের ফলন বৃদ্ধি হওয়ায় কৃষকেরা নতুন ধান লাগাতে আগ্রহী হয়।
এবারে আমন মৌসুমে ১৮ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ব্রিধান-১০৩ জাতের ধান ১২০ হেক্টর, ব্রিধান-১১০ জাতের ধান ২০০ হেক্টর ও জিরাশাইল গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে-৮৮৭৬ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় কিন্তু ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ৭২৬০ হেক্টর জমিতে জিরাশাইল ধান উৎপান করা হচ্ছে। কিন্তু এবারে অনুকূল আবহাওয়া ও আমন চাষে সঠিক সময়ে বৃষ্টির পানি সমস্যা না থাকায় এবং স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় কৃষকেরা অতিরিক্ত জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন।
ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফ আব্দুল্লাহ মোস্তাফিন বলেন, চলতি মৌসুমে প্রথম পর্যায়ে বৃষ্টিপাত তুলনামূলক কম হয়েছিল। কিন্তু আগস্ট মাসের শুরু থেকেই বৃষ্টিপাত হওয়ায় আমন চাষের উপযোগী হয়েছে। ফলে কৃষকেরা উঁচু জমিগুলোতে আমন চাষ করতে সক্ষম হয়েছেন।
কৃষকেরা বলছেন, রোপা আমন চাষে এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি। এবার আমন মৌসুমে গত ৬ জুলাই থেকে ১৫ আগষ্ট পর্যন্ত জেলায় আমন ধানের চারা রোপণ নির্বিঘ্নে করা গেছে।
কৃষি বিভাগ জানায়, অধিক আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত করার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি রেখে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে। এ জন্য বিএডিসি বিভাগ পর্যাপ্ত পরিমাণ কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী রাসায়নিক সার তাদের গুদামে আগাম মজুত রেখেছিল।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জেলায় এবার আগাম জাতের আমন ধান বেশি রোপণ করা হয়েছে। কৃষকরা বাম্পার ফলনের আশায় আমন ধানের জমিতে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। আমন মৌসুমে কৃষকেরা আমন ধানে বাম্পার ফলন অর্জন করবেন।
কিউএনবি/আয়শা/২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, /রাত ৮:৩৮