আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি : ঢাকার আশুলিয়ায় জিরানী-আমতলা ও ধামরাই-কালিয়াকৈর সড়কের আমতলা বাজার এলাকার উভয় পাশে অবৈধভাবে দোকান পাট বসানোর ফলে ওই দুটি সড়কে তীব্র যানজট লেগেই থাকে। বিশেষ করে সকালে এই যানজটের মাত্রা এতটাই তীব্র হয় যে ১ মিনিটের রাস্তা পাড় হতে সময় লাগে ১০ থেকে ১৫ মিনিট। কোন কোন সময় আবার আধা ঘন্টারও বেশি সময় যানজটে বসে থাকতে হয়। এরইমধ্যে এলাকাবাসির পক্ষ থেকে ঢাকা জেলা প্রশাসক ও সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে এলাকাবাসির পক্ষ থেকে সড়কের পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে যাত্রী ছাউনি নির্মাণের দাবী জানিয়ে আবেদন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে আশুলিয়ার জিরানী-আমতলা ও ধামরাই-কালিয়াকৈর সড়কের আমতলা বাজার এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলে এসব জানান যায়।
সড়কের পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য করা আবেদন থেকে জানা যায়, আশুলিয়া থানাধীন শিমুলিয়া ইউনিয়নের জিরানী বাজার থেকে আমতলা বাজার এবং আমতলা বাজার থেকে ধামরাইগামী সরকারি রাস্তা সংলগ্ন গনকপাড়া গ্রামের কিছু প্রভাবশালী লোকজন অবৈধ দোকান পাট উঠিয়ে প্রতি নিয়ত ভাড়া আদায় করছে এবং কতিপয় অসাধু চাঁদাবাজ লোকের ছত্রছায়ায় বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময়ে দোকানপাট নির্মাণ করে পরিচালনা করে আসছে। রাস্তার পাশে দোকানপাট থাকার কারণে সবসময় যানজট লেগে থাকে এবং ফুটপাতে জায়গা না থাকায় সাধারণ জনগণ খালি পায়ে হেটেই চলাচল করতে পারেনা। এমনকি অসুস্থ কাউকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে এখানে এসে আটকে থাকতে হয়। যার ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। যার কারণে রাস্তার পাশের অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করে যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করার জোর দাবী জানানো হয়।
স্থানীয়রা জানান, রাস্তার পাশে অবৈধভাবে দোকানপাট বসানোর ফলে ফুটপাত ও রাস্তা দখল হয়ে গেছে। যার কারণে সাধারণ মানুষ এবং বাসিন্দাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। এছাড়া যানবাহনও আটকে থাকে। ফলে সৃষ্টি হয় যানজট। আবার দোকানগুলো রাস্তা ও ফুটপাতের অনেকটাই দখল করে বসে। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরণের ভাসমান দোকান, ফল, সবজি, মসলার দোকান, এমনকি স্থায়ীভাবে বসেছে মিষ্টির দোকান, ছোট ছোট হোটেল ও দোকানগুলোও সরকারি রাস্তার জমি দখল করে ব্যবসা করে, যা জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা আরো জানান, আমতলা-জিরানী সড়কের উত্তর পাশে সড়কের জমি দখলে নিয়ে টিন দিয়ে দোকান ঘর করা হয়েছে। যেখানে হোটেল, কসমেটিকসের দোকান, চায়ের দোকান সহ বিভিন্ন ধরণের দোকান করে রেখেছে স্থায়ীভাবে। যার ফলে জিরানীগামী গাড়িগুলো রাস্তার উপরেই রাখতে হয় এবং জিরানী থেকে আসা গাড়িগুলোও এখানে এসে রাস্তার উপরেই পার্ক করা থাকে। ফলে অন্য কোন গাড়ি যেতে পারে না। বেশ কয়েকজন দোকানদার জানান, সরকারি জমিতে দোকানপাট করা হয়েছে বিষয়টি তারা জানেন। সড়কের প্রয়োজনে যেকোন সময় আবার ভেংগেও দিবে। ভেংগে দিলে আর কি করার।
আরো বেশ কয়েকজন দোকানদার জানান, তারা ভাড়া হিসেবে দোকান নিয়েছেন। ব্যবসা করছেন। তবে রাস্তার প্রয়োজন হলে ছেড়ে দিতে হবে এটা সত্য। এব্যাপারে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আবুবকর সরকার জানান, অভিযোগটি এখনো আমার হাতে পৌছায়নি। পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কিউএনবি/আয়শা/২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, /রাত ৮:২২