আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ফ্রান্স। সরকারের নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাজপথে নেমেছে দুই লাখের বেশি বিক্ষোভকারী। এরই মধ্যে ৪৫০ জনের বেশি গ্রেফতার করা হয়েছে। আহত হয়েছেন বহু পুলিশ কর্মকর্তা।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানী প্যারিসসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভকারী রাস্তায় নামেন। এসময় তারা মহাসড়ক অবরোধ করে, ব্যারিকেডে আগুন ধরিয়ে এবং পুলিশের সঙ্গে বিচ্ছিন্নভাবে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিক্ষোভের ফলে ফ্রান্সের বিভিন্ন জায়গায় দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৮০ হাজার পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। প্যারিসসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড তৈরি করে আগুন ধরিয়ে দেন। কোথাও রেললাইনে বিদ্যুৎ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর রেনে-তে একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করছেন, ম্যাক্রোঁ জনগণের দাবি উপেক্ষা করেছেন। তাদের মতে, সংসদ ভেঙে দেয়া অথবা একজন বামপন্থি নেতাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেয়াই ছিল যৌক্তিক পদক্ষেপ। কিন্তু ঘনিষ্ঠজনকে প্রধানমন্ত্রী করার মাধ্যমে তিনি জনগণের প্রত্যাশা ভঙ্গ করেছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেতাইয়ো জানান, এই বিক্ষোভ পরিকল্পিত। সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চলছে।’ তিনি বলেন, গ্রেফতারদের মধ্যে অনেকেই ইচ্ছাকৃতভাবে সংঘাতে জড়াতে রাস্তায় নেমেছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ব্যয় সংকোচন নীতি বাস্তবায়ন শুরু করলে তরুণদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। সোমবার পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রী ফ্রঁসোয়া বায়রু পদত্যাগ করেন। এরপরই ম্যাক্রোঁ তার ঘনিষ্ঠ সেবাস্টিয়ান লেকর্নুকে নতুন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন।
কিউএনবি/আয়শা/১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, /রাত ৮:২৩