পুলিশ জানায়, নিহত অটোরিকশা চালক রফিকুল ইসলামের আদি নিবাস বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানা এলাকায়। বিয়ে করে ৪০ বছর যাবত তিনি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ সিরাজপুর ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের দ্বীন বেপারী বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। ২-৩ মাস আগে তিনি একটি নতুন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কিনেন। গত ২৫ আগস্ট সোমবার বাড়িতে দুপুরের খাবার খেয়ে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে যান তিনি। রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা একাধিকবার তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল করে বন্ধ পায়। পরের দিন মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সুবর্ণচর উপজেলার নুর ইসলাম মিয়ার বাড়ির পাশে স্থানীয় লোকজন তার মরদেহ পড়ে থাকতে দাখে। তার গলায় দড়ির দাগের ও শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহৃ ছিল।
পুলিশ আরও জানায়, শনিবার ৩০ আগস্ট রাত ২টার দিকে কোম্পানীগঞ্জের সিরাজপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদনগর গ্রামের কামাল হোসেনের গ্যারেজ থেকে মূলহোতা মনিরকে আটক করা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে মনির স্বীকার করে ভিকটিম রফিকুল ইসলাম তার পূর্ব পরিচিত ছিল। তারা এক সাথে আড্ডা দিতেন। সোমবার রাতে কোমল পানীয় স্পিডের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তার অটোরিকশা নিয়ে যাওয়ার সময় ভিকটিম বারবার পিছন পিছন আসে। পরে ওই অটোরিকশা করে তাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসামি মো. লিটনের সহযোগিতায় মনির হোসেন তার ব্যবহৃত গামছা দিয়ে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। একপর্যায়ে অটোরিকশা নিয়ে নিয়ে তারা আত্মগোপনে চলে যায়। আসামির দেওয়া তথ্যমতে চরজব্বর থানা এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা ও হত্যায় ব্যবহৃত গামছা উদ্ধার করা হয়।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহীম মিয়া আরও বলেন, এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়। যাচাই বাচাই শেষে রিপন নামে এক তরুণ হত্যাকান্ডে জড়িত না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। অপর দুই আসামিকে গ্রেপ্তার দেখি নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।