সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ০২:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
নেদারল্যান্ডস সিরিজের সব ম্যাচ সিলেটে বাংলাদেশকে হালাল পণ্যের হাব হিসেবে গড়তে কাজ চলছে: বিডা চেয়ারম্যান বুমরাহকে শুধু টেস্টে সীমাবদ্ধ রাখা হতাশাজনক হবে: ম্যাকগ্রা যুক্তরাষ্ট্র নাকি রাশিয়া, সাবমেরিন শক্তিতে এগিয়ে কে? জুলাই ঘোষণাপত্রকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে: আখতার বিচার বিভাগই ছিল ফ্যাসিস্ট শাসকের প্রধান শক্তি: মাহমুদুর রহমান জুলাই সনদে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অন্তর্ভুক্তির আহ্বান ভোটে বিতর্ক রায়ে নিষ্পত্তি, চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিলেন বিএনপি নেতা সিনেমা ছাড়াই যেভাবে ১২০০ কোটির মাইলফলক ছুঁতে চান কৃতি পেজেশকিয়ানের সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে: শাহবাজ শরিফ

নেদারল্যান্ডস সিরিজের সব ম্যাচ সিলেটে

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫
  • ১৬ Time View

ডেস্ক নিউজ : পাকিস্তান সিরিজের পর মিরপুরের স্লো পিচ আরও একবার আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। সিরিজের মাঝে পিচ নিয়ে সরাসরি সমালোচনা করেছিলেন সফরকারী দলের অধিনায়ক সালমান আঘা এবং কোচ মাইক৷ হেসন। বাংলাদেশ সাফল্য পেলেও এমন পিচ বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের প্রস্তুতির জন্য আদর্শ নয় বলে মন্তব্য করেন তারা। বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটাররাও চান এশিয়া কাপের প্রস্তুতি স্পোর্টিং উইকেটেই হোক।

মিরপুরের পিচে খেলে ক্রিকেটারদের ব্যাটিং-বোলিংয়ের যে প্যাটার্ন তৈরি হয় সেটা স্পোর্টিং কিংবা হাই স্কোরিং উইকেটে যে তেমন কাজে আসে না, বিভিন্ন গ্লোবাল ইভেন্টে সেটা আগেই প্রমাণিত হয়েছে। আজ (৩ আগস্ট) গণমাধ্যমকে এর যৌক্তিক ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বিসিবি কোচ সোহেল ইসলাম।
 
তিনি বলেন, ‘উইকেটের ওপর নির্ভর করে একটা ব্যাটারের ব্যাটিং প্যাটার্ন কেমন হবে। লো বাউন্স উইকেট হলে ব্যাটিংটাও তেমন হয়ে যায়। সেখানে শট খেলতে ব্যাটাররা ভয় পায়। শট খেলতে হলে একটু ঝুঁকি নিতে হবে। আমাদের (বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের) মধ্যে এটা ঢুকে যায়। এর ফলে আমরা ভুগি। এমন না যে সবসময় ফ্লাট উইকেটে খেলতে হবে। সব ধরনের উইকেটেই মানিয়ে নেয়া শিখতে হিবে। ভিন্ন উইকেটে কিভাবে মানিয়ে নিচ্ছে (দল) সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।’
 
মিরপুরের উইকেট নিয়ে সমালোচনা হয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের সাবেক ক্রিকেটাররা এই পিচে খেলাকে দলের জন্য ক্ষতিকর বলেও মন্তব্য করেছেন। নেদারল্যান্ডস সিরিজের আগে তাই এই বিষয়ে নড়েচড়ে বসেছে বিসিবি। ডাচদের বিপক্ষে সবগুলো ম্যাচ সিলেটের স্পোর্টিং উইকেটে আয়োজনের কথা ভাবছে বোর্ড। 
 
ডাচ সিরিজের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও আসেনি। তবে সিরিজ প্রায় নিশ্চিত। সিরিজের আগে দলের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ফাহিম বলেন, ‘৬ তারিখে ঢাকায় ক্যাম্প শুরু হবে। সবাই আসবে, ফিটনেস দিয়ে শুরু হবে। তারপর কোচরা চলে আসবে ১১, ১২, ১৩. তারিখ…এরকম সময়ের মধ্যে কোচরা আসা শুরু করবে। কোচরা আসা শুরু করার পর এখানে স্কিলের কাজ শুরু হবে। তবে এখান থেকে ক্যাম্পটা চলে যাবে। আমরা আশা করছি ক্যাম্পটা চলে যাবে সিলেটে। সিলেটে কিছুদিন অনুশীলন করবে। তারপর ইনশাআল্লাহ আমরা নেদারল্যান্ডসের সাথে সেখানে সিরিজটা খেলব।’
 
ক্রিকেটারদের আদর্শ প্রস্তুতির জন্য সিলেটকে বেছে নেয়ার কথা জানিয়েছেন ফাহিম, ‘আমাদের এখানে সম্ভাব্য সেরা উইকেট খুব সম্ভবত সিলেটে। যেখানে একটু রান হয়। টি-টোয়েন্টিতে এমন উইকেট দরকার যেখানে রান হবে। বাংলাদেশের মধ্যে সিলেটই বোধহয় সেই জায়গা। আমরা চেষ্টা করব সিলেটে খেলাগুলো দিতে। সুতরাং আমাদের পক্ষে আদর্শ প্রস্তুতি বলতে যা বোঝায় আমরা যেন সেটা করতে পারি।’
 
এশিয়া কাপের আগে বাংলাদেশের শেষ সিরিজ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। মূলত এই সিরিজেই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সারতে চাইছে টাইগাররা। তাই পিচের ওপর নজর থাকছে বিশেষ। সিরিজে যতটা সম্ভব হাইস্কোরিং উইকেট প্রস্তুতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ফাহিম। তিনি বলেন, ‘যদি ৩০০ রানের উইকেট বানাতে পারি তাহলে আমরা তাই চাইব। সেটা তো সম্ভব হবে না। ৩-৪ দিন আগে আমি সিলেট গিয়েছিলাম এবং উইকেট দেখেছি, ভালো ব্যাটিং উইকেট বানানো যায়।

আগেও দেখেছি সেটা। আমাদের হাতে এখনো বেশ সময় আছে এবং আমরা মোটামুটি ভালো উইকেট না বানাতে পারার কোনো কারণ নেই। অবশ্যই, এমন উইকেট না যেখানে ১৩০-১৪০ রান করতে কষ্ট হবে। আমরা চাইব অন্তত ১৭০-১৮০ রানের উইকেট হোক, সম্ভব হলে ২০০ রানের উইকেটও হোক।’

 

 

কিউএনবি/আয়শা/৩ আগস্ট ২০২৫/রাত ১১:১৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

August 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit