ডেস্ক নিউজ : প্রবাসীদের জন্য একটি হাসপাতাল নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। শনিবার বিকালে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবসের আয়োজনে তিনি এ কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, নিজেদের জীবন চরম ঝুঁকির মধ্যে ফেলে জুলাই আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছিলেন রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। সরকার যাওয়ার আগে প্রবাসীদের জন্য কিছু করে যেতে চায়। প্রবাসীদের জন্য একটি হাসপাতাল নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে।
গত বছরের জুলাইয়ে সরকারি চাকরির কোটা সংস্কারের দাবিতে বাংলাদেশ যখন বিক্ষোভে উত্তাল, সে সময় তাতে সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস্তায় বিক্ষোভে নেমেছিলেন বাংলাদেশিরা।
গত বছরের ২০ জুলাই সন্ধ্যায় দুবাই, শারজাহ ও আজমানের বিভিন্ন এলাকার সড়কে বিক্ষোভের সময় ৫৭ বাংলাদেশিকে আটক করে পুলিশ। দুদিন পর দাঙ্গা, যোগাযোগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং সম্পদহানীর মত অভিযোগে তাদের তিনজনকে যাবজ্জীবন, একজনকে ১১ বছর এবং বাকি ৫৩ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। এরপর বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সুবিধা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ বরার ঘোষণা দেয় আমিরাত সরকার।
গত বছরের ১১ আগস্ট পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আটক ও দণ্ডিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মুক্তির বিষয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। পরদিন সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের মিশনপ্রধান মুহাম্মদ মিযানুর রহমান জানান, দণ্ডিত ৫৭ জনকে মুক্ত করতে আইনজীবী নিয়োগ দেওয়ার কথা ভাবছে বাংলাদেশ সরকার।
এরই ধারাবাহিকতায় সেই বাংলাদেশিদের পরিবারের জন্য সুখবর আসে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান দেশটির আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত ৫৭ জন বাংলাদেশি প্রবাসীদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। তাদেরকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের ধারা অনেকটাই ইতিবাচক। গত বছরের জুলাই মাস থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মোট ৩০ হাজার ২২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স দেশে এসেছে। আগের অর্থবছরে একই সময়ে এসেছে ২৩ হাজার ৯১২ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ২৬ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি।
যে কারণে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে। দেশের গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে শহীদ ও আহত ভাইদের উৎসর্গ করে প্রবাসীরা বেশি বেশি রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে বলে মনে করেন কর্তৃপক্ষ। রেমিটেন্স আয়ের দিক থেকে ২০২৪ সালে বিশ্বে সপ্তম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ।
কিউএনবি/আয়শা/২ আগস্ট ২০২৫/রাত ৯:১২