লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : দৈনন্দিনের ভুল জীবনযাপনের ফলে আমাদের বড় একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে চুল ওঠা। চুলের সমস্যা এড়াতে নানা প্রসাধনী ব্যবহারের ফলেও কোনো উপকার পাচ্ছেন না অনেকে। আর সে জন্য বিশেষজ্ঞরা প্রসাধনীর পাশাপাশি ডায়েটেও নজর দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
স্বাস্থ্যকর খাবার চুলের সৌন্দর্য বাড়াতেও সাহায্য করে। ভিটামিন বি, ই সমৃদ্ধ খাবার চুলের যত্নে দুর্দান্ত কাজ করে। পাশাপাশি দরকার পর্যাপ্ত প্রোটিন। চুলের যত্নে প্রোটিনের ভূমিকা অপরিসীম। মূলত, প্রোটিনের মধ্যে থাকা কেরাটিন চুলের যত্ন নেয়।
তাই পার্লারে গিয়ে কেরাটিন ট্রিটমেন্ট না করিয়ে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। এছাড়া চুল ভালো রাখতে আর কী কী খাবেন, জেনে নিন-
ডিম
ডিম হলো পুষ্টির ভাণ্ডার। এতে প্রোটিন বা বায়োটিনের পাশাপাশি ভিটামিন এ, ডি, জিঙ্ক, অ্যামিনো এসিড, সেলেনিয়ামের মতো উপাদান রয়েছে। ডিম খেলে চুল ও স্ক্যাল্পের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
গ্রিক ইয়োগার্ট
গ্রিক ইয়োগার্টে প্রায় ১০ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে। চুলের গঠন ও বৃদ্ধিতে দুর্দান্ত সাহায্য করে এই দই। এই খাবারে ভিটামিন বি৫ রয়েছে, যা স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতেও সাহায্য করে। ফল-বাদাম মিশিয়ে গ্রিক ইয়োগার্ট খেতে পারেন।
ডাল
যেকোনো ধরনের ডালেই প্রোটিন পাওয়া যায়। প্রতিদিনের ডায়েটে ডাল রাখলে দেহে প্রোটিনের ঘাটতিও মিটে যায়। এক কাপ ডালে প্রায় ১৮ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে। এ ছাড়া আয়রন, ফোলেট ও ফাইবার পাওয়া যায় ডালে। কেরাটিনের ঘাটতি মেটানোর পাশাপাশি স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে ডাল। চুল পড়ার সমস্যাও দূর করে দেয় এই খাবার।
পালংশাক ও গাজর
পালংশাকে কেরাটিনের পাশাপাশি আয়রন, ফোলেট, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি রয়েছে। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল পেতে ডায়েটে পালংশাক রাখতে পারেন। অন্যদিকে গাজরেও ভিটামিন এ এবং কেরাটিন রয়েছে। এই উপাদানগুলো চুলের হাল ফেরাতে সাহায্য করে।
বাদাম ও বীজ
আমন্ড, আখরোট ও সূর্যমুখীর দানায় বায়োটিন ও জিঙ্ক রয়েছে। এই দুই উপাদান দেহে কেরাটিন উৎপাদনে সাহায্য করে। তাই চুলের সমস্যা এড়াতে এই খাবারগুলো নিয়ম করে খেতে পারেন।
কিউএনবি/অনিমা/০৭ জুলাই ২০২৫,/বিকাল ৩:২৬