শার্শা(যশোর)সংবাদদাতা : বাংলাদেেেশর বৃহত্তর স্থর বন্দর বেনাপোল কাস্টমস হাউসে গত তিন দিন ধরে চলছে কর্ম বিরতি । বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ডর (এনবিআর) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খানকে অপসারন ও জারিকৃত বদলি আদেশ বাতিলের দাবিতে তৃতীয় দিনের মত কলম বিরতি পালন করেছে বেনাপোল কাস্টমস হাউস।
এনবিআর সংস্থার ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দাবির সঙ্গে একাত্বতা ঘোষনা করে তৃতীয় দিন বুধবার দুপুর ২ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত কর্ম বিরতি পালন করেন কাস্টমস হাউসের সকল কর্মকর্তাবৃন্দ। তবে বুধবার সকাল ৯ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত কাস্টম হাউসের সকল কাযূক্রম চালু ছিল। এ ছাড়া আমদানি ,রপ্তারি ও বেনাপোল ইমিগ্রেশনের সকল কার্যক্রম ও যাত্রি সেবা স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সূত্র থেকে জানাযায়, গত সোমবার সকাল ৯ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত ও বুধবার বেলা ১২ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত গত ৩ দিন ধরে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কার্যক্রম বন্ধ করে কর্ম বিরতি পালন করছে কর্মকর্তা বৃন্দ। বিরতির সময় কিছু কিছু কর্মকর্তারা হাউসে থাকলেও তারা কোর শূল্কায়নের কাজ করছে না। অনেককে কর্মস্থলে না এসে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে।
জানগেছে, এনবিআরের নির্দেশনায় তাদের দাবি আদায়ের জন্য কর্ম বিরতি পালনের সময় এনবিআর কাস্টমস হাউসের সকল সার্ভেয়ার ও নেট ওয়ার্ক বন্ধ করে রাখছে। যে কারনে কর্মবিরতির সময় বেনাপোল কাস্টমস হাউনে কোর সিএন্ডএফ তাদের পেপার এন্টি করতে পারেনি।
কর্ম বিরতির সময় শেষ হলে পুনরায় এনবিআর তাদের সার্ভেয়ার ও নেট ওয়ার্ক চালু করছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বেনাপোল স্টাফ এসোসিয়েমনের সাধারন সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তাদের কর্ম বিরতির কারনে বেনাপোল বন্দবে অনেক সমষ্যা সৃষ্টি হয়েছে। অনেক সি এন্ড এফ তাদের পন্য পরিবহন করতে অফিসারের স্বাক্ষর করাতে পারছে না। কারন কর্মবিরতির জন্য অফিস সময়ে তারা কাজ করছে না।
এজন্য পন্য খালাসে গেট পাস না পাওয়ায় শত শত পন্য বোঝাই ট্রাক বন্দরে আটকা পড়ছে। ফলে যান জটের সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বেনাপোল সিএন্ডএফ এনোনিয়েমনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব খায়রুজ্জামান মধু বলেন গত ৩দিন ধরে বেনাপোল কাস্টমন হাউসে কর্ম বিরতির কারনে ব্যবসায়ীক ভাবে অনেক জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। অনেতে তাদের জরুরী পন্যের শুল্কায়ন বরতে পারছে না।
তিনি বলেন একদিকে কাস্টমসের দাবি মানার আন্দোলন। অন্যদিকে সরকারের রাজস্ক আহরন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এজন্য যত দ্রুত সম্ভব এনবিআর ও সরকার আলোচনা করে সমষ্যা সমাধান না করলে আগামী অর্থ বছরের রাজস্ব আদায় পূরনে ঘাটতি দেখা দেবে বলে তিনি মনে করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বেনাপোল কাস্টমস হাইসের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা বলেন উপরের নির্দেশে তারা তাদের কর্মসুচি পালন করছে। তাদের কিছু বলার নেই। উপরি মহল নির্দেশ দিলে তারা কর্ম বিরতি তুলে নিবেন বলে জানান। তিনি আরও বলেন তাদের দাবি না মানলে আগামী ২৮ জুন থেকে লাগাতার সটডাউন কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়েছে।
কিউএনবি/আয়শা//২৫ জুন ২০২৫, /রাত ১১:৪৫