স্পোর্টস ডেস্ক : বৃষ্টিতে যখন প্রথম সেশন অকালে শেষ হয়ে গেল, তখন থেকেই অপেক্ষা ছিল বাংলাদেশ কখন ইনিংস ঘোষণা করবে। তবে সেটা যে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরির পরই হচ্ছে, তাতে কোনো সন্দেহ ছিল না। শেষমেশ হয়েছেও তাই। বাংলাদেশ অধিনায়ক ইতিহাস গড়েছেন সেঞ্চুরি করে। এরপর রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছেন শ্রীলঙ্কান বোলারদের ওপর। এরপরই বাংলাদেশ করেছে ইনিংস ঘোষণা।
তবে সব সম্ভাবনার চাবিকাঠিটা বাংলাদেশের হাতে ছিল। মানে বাংলাদেশ না চাইলে এখান থেকে এক ফলাফলের অন্যথা হওয়া খুব একটা সম্ভব নয়, অবশ্য অতিমানবীয় কিছু হয়ে গেলে সেটা ভিন্ন কথা। বাংলাদেশের চালকের আসনে থাকার বড় কারণটা ছিল মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে মিলে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর দারুণ এক জুটি। প্রথম ইনিংসে রেকর্ড ছুঁইছুঁই ২৬৪ রানের জুটি গড়েছিলেন চতুর্থ উইকেটে। তেমন রেকর্ড না হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে দুজন মিলে এই চতুর্থ উইকেট জুটিতেই যোগ করেছেন ১০৯ রান। আর সেটাই লঙ্কানদের জেতার আশা কমিয়ে দিয়েছে অনেকখানি।
তাদের সে জুটি ভাঙে মুশফিকের রানআউটে। এরপর বৃষ্টি নামে ঝমঝমিয়ে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা নেই হয়ে গেছে বৃষ্টির কারণে। তা শেষে খেলা শুরু হতেই পরিষ্কার ছিল বাংলাদেশের অভিপ্রায়। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরি, এরপর দ্রুত কিছু রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করা। তার আগেই অবশ্য বাংলাদেশ দুটো উইকেট খুইয়েছে। লিটন দাসকে অবিশ্বাস্য এক বলে আউট করেছেন থারিন্দু রত্নায়েকে। এর একটু পর প্রায় একই রকমের এক বলে জাকের আলীকেও স্টাম্পিংয়ের শিকার বানিয়েছেন তিনি।
শান্ত সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে গেছেন একটু পর। সেঞ্চুরিটা পেয়েই তিনি ভিন্ন রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন গলে। ১৯০ বলে সেঞ্চুরিটা করার পর তিনি ইনিংস ঘোষণার আগ পর্যন্ত খেলেছেন ৯টি বল, এখানে রান এসেছে ২৫টি। তিনটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন এ সময়ে। এরপরই বাংলাদেশ ইনিংসটা ঘোষণা করে। লঙ্কানদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৯৬ রানের।
কিউএনবি/আয়শা/২১ জুন ২০২৫, /বিকাল ৪:০০