বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ঈশ্বরগঞ্জে পিতার কুড়ালের আঘাতে পুত্রের মৃত্যু .. ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে কানাডা, ক্ষুব্ধ ইসরাইল ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির পরিকল্পনা হামাসকে পুরস্কৃত নয়: যুক্তরাজ্য আপনার এনআইডিতে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন রয়েছে, যাচাই করবেন যেভাবে হাসিনা-জয়-পুতুলের বিচার শুরু, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি জিএম কাদেরের ওপর নিষেধাজ্ঞা, অব্যাহতিপ্রাপ্ত নেতারা স্বপদে বহাল নিষেধাজ্ঞা শেষে ৩ বছর পর আবার জিম্বাবুয়ে দলে টেলর ‘দলগুলোর মধ্যে বোঝাপড়া না থাকলে তিক্ততা বাড়বে’ খালেদা জিয়ার কণ্ঠ নকল করে চাঁদাবাজি: সাড়ে ৫ কোটি টাকা ফ্রিজ একদিন ভারতেও তেল রফতানি করবে পাকিস্তান: ট্রাম্প

ইহরাম অবস্থায় অলঙ্কার-চুড়ি পরা জায়েজ?

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২১ মে, ২০২৫
  • ৪১ Time View

ডেস্ক নিউজ : প্রশ্ন: গত বছর আমি হজে গিয়েছিলাম। সেখানে এক জোড়া স্বর্ণের চুড়ি ক্রয় করি এবং পছন্দের জন্য হাতে পরে দেখি এবং সঙ্গে সঙ্গে খুলে ফেলি। প্রশ্ন হল, ইহরাম অবস্থায় স্বর্ণের চুড়ি হাতে দেওয়ার কারণে কি আমার উপর কোনো দম ওয়াজিব হয়েছে?

উত্তর: ইহরাম অবস্থায় নারীদের জন্য স্বর্ণ-রূপার অলঙ্কার এবং চুড়ি পরা জায়েজ। তাই চুড়ি পরার কারণে আপনার ওপর কোনো দম ওয়াজিব হয়নি। হযরত নাফে রহ. বলেন,আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা.-এর স্ত্রী ও কন্যারা ইহরাম অবস্থায় অলঙ্কার পরতেন।

নারীদের ইহরামের পোশাকের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের পোশাক নির্দিষ্ট করা নেই। পুরুষের মতো তাদের সেলাইবিহীন পোশাক পরা জরুরি নয়। নারীরা ইহরামের জন্য তাদের স্বাভাবিক পোশাকই পরতে পারবেন।

তবে ইহরামের সময় অবশ্যই শরীয়ত নিষিদ্ধ কাপড় পরা যাবে না। পোশাক যেন এমন আঁটসাট না হয়, যাতে শরীর স্পষ্ট বোঝা যায়, তা খেয়াল রাখতে হবে।  তবে সবচেয়ে ভালো হয় এমন পোশাক পরা যা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে না। 

কারণ, হজের সময় নারী-পুরুষ কাছাকাছি অবস্থান করেন। তাই সৌন্দর্য প্রকাশ পায় এমন পোশাক পরলে ফিতনার আশঙ্কা রয়েছে। ইহরাম অবস্থাতেও নারীদের চেহারার পর্দা করার বিধান আছে- এসময়ে চেহারায় কাপড় লাগানো নিষেধ। কিন্তু ঢাকা নিষেধ নয়। 

হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বার্ণিত আছে, তিনি বলেন- ইহরাম অবস্থায় আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে ছিলাম। লোকেরা যখন আমাদের পাশ দিয়ে যেত তখন আমরা আমাদের চাদর মাথায় সামনে ঝুলিয়ে দিতাম। আর চলে যাওয়ার পর তা সরিয়ে ফেলতাম। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস ১৮৩৩)

এ হাদিস থেকেই ইহরাম অবস্থায় চেহারা ঢাকার হুকুম ও গুরুত্ব বুঝা যায়। মনে রাখা দরকার যে, হজ-ওমরার কাজগুলো সাধারণত পুরুষ-নারী সম্মিলিতভাবেই আদায় করা হয়। তাই এক্ষেত্রে নারীদের দায়িত্ব যথাসম্ভব পর্দায় থাকা এবং পুরুষদের দায়িত্ব নিজ নিজ চোখের হেফাজত করা। 

সুতরাং ক্যাপ বা হ্যাট জাতীয় কিছু মাথায় লাগিয়ে চেহারা ঢেকে নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। অবশ্য রাস্তায় চলাচলের সময় অথবা বেশি ভিড়ের মধ্যে প্রয়োজনে চেহারা খোলারও অবকাশ আছে। 

আর কারো জন্য যদি কোনো কারণে ক্যাপ ব্যবহার করা কষ্টকর হয়ে যায় তাহলে তার জন্য ছাড় গ্রহণের অবকাশ থাকবে ইনশাআল্লাহ। অবশ্য সতর্কতামূলক এজন্য ইস্তিগফার করতে থাকবে।

সূত্র: মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদিস ১৪৪১৪; ফাতহুল কাদীর ২/৩৪৬; বাদায়েউস সানায়ে ২/৪১০; মানাসিক, মোল্লা আলী কারী ১১৫

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২১ মে ২০২৫, /সন্ধ্যা ৬:২৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit