স্পোর্টস ডেস্ক : প্রতি মৌসুমে ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোর শীর্ষ গোলদাতাদের সংশ্লিষ্ট লিগ থেকে ‘গোল্ডেন বুট’ পুরস্কৃত করা হয়। সেই পুরস্কারের লিগভেদে আলাদা আলাদা নাম আছে। আবার উয়েফার অধীনস্থ সবগুলো লিগ মিলিয়েও দেয়া হয় ইউরোপিয়ান ‘গোল্ডেন শু’ নামে পরিচিত সোনার জুতো। এই পুরস্কার দেয়া হয় গোল সংখ্যাকে পয়েন্টে রূপান্তরিত করে সর্বোচ্চ পয়েন্টের মালিককে। পয়েন্ট হিসাব করা হয় গোল সংখ্যা ও সংশ্লিষ্ট লিগের মানের ভিত্তিতে।
নিয়ম অনুযায়ী, উয়েফা কো–ইফিসিয়েন্ট তালিকায় শীর্ষ ৫ লিগে করা প্রতিটি গোলের জন্য ২ পয়েন্ট করে দেয়া হয়। এরপর ৬ থেকে ২২ পর্যন্ত র্যাঙ্কিংয়ের লিগে প্রতিটি গোলের জন্য দেয়া হয় ১.৫ পয়েন্ট করে। এর বাইরের লিগগুলোয় প্রতিটি গোলের মান ১ পয়েন্ট। ফলে শীর্ষ পাঁচ লিগ থেকেই গোল্ডেন শু জেতার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।
এবারের গোল্ডেন শু’র লড়াইয়ে এখানেই ব্যতিক্রম। শীর্ষ পাঁচ লিগের বাইরে খেলেও এখন পর্যন্ত সোনার জুতো জেতার লড়াইয়ে সবচেয়ে এগিয়ে ভিক্তর গিওকারেস। পর্তুগালের লিগের দল স্পোর্তিং সিপির হয়ে খেলা এই সুইডিশ পেছনে ফেলেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, মোহামেদ সালাহ, হ্যারি কেন, রবার্ট লেভানদোভস্কির মতো নামকে।
গোলের সংখ্যায় গিওকারেস সবাইকে টেক্কা দিয়েছেন। ৩৩ ম্যাচ খেলেই করেছেন ৩৯ গোল। গোলের হিসেবে তার ধারেকাছেও বাকিরা নেই। কিন্তু পর্তুগিজ প্রিমেরা লিগা র্যাঙ্কিংয়ের সপ্তম স্থানে থাকায় প্রতিটি গোলের জন্য তিনি পেয়েছেন ১.৫ পয়েন্ট করে। তাতে তার পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৫৮.৫। আবার লিগে ম্যাচ সংখ্যাতেও পিছিয়ে তিনি। লা লিগা, প্রিমিয়ার লিগ, সিরি আ’য় ম্যাচের সংখ্যা ৩৮ হলেও পর্তুগিজ লিগে ম্যাচ ৩৪টি। এরই মধ্যে সবগুলো ম্যাচ হয়ে যাওয়ায় গিওকারেসের হাতে আর কোনো ম্যাচ বাকি নেই।
আর এ কারণেই গোল্ডেন বুট জেতার দৌড়ে কিলিয়ান এমবাপ্পেই এখন পরিষ্কার ফেবারিট। গিওকাসেরের সমান ম্যাচ খেলে এমবাপ্পে গোল করেছেন পাক্কা ১০টি কম, ২৯টি। কিন্তু লা লিগা শীর্ষ পাঁচ লিগের একটি হওয়ায় এমবাপ্পের পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৫৮; যা সুইডিশ তারকার চেয়ে মোটে .৫০ কম। লা লিগায় রিয়ালের আরও একটি ম্যাচ বাকি থাকায় তকে টপকে যাওয়ার সুযোগ আছে এই ফরাসির সামনে। লিগের শেষ ম্যাচে শনিবার (২৪ মে) সোসিয়েদাদের বিপক্ষে একটা গোল করলেই শীর্ষে উঠে যাবেন এমবাপ্পে।
কিউএনবি/আয়শা/২১ মে ২০২৫, /বিকাল ৪:৪০