শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে কড়াকড়ি, সর্বনিম্ন শরণার্থী গ্রহণের সীমা ঘোষণা ট্রাম্পের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৫০৬ জন শেখ হাসিনাসহ ২৬১ পলাতক আসামির বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি সংস্কার কমিশন বয়কট করা উচিত ছিল বিএনপির : আব্দুল্লাহ তাহের শার্শা বিএনপি’র আয়োজনে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত আশুলিয়ায় ধামসোনা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের লিফলেট বিতরণ  মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ গ্রেপ্তার ৭৯০ বাধ্যতামূলক সেনা নিয়োগের বিরুদ্ধে ইসরাইলে ব্যাপক বিক্ষোভ গণভোট ও নির্বাচন নিয়ে যে বার্তা দিলেন প্রেস সচিব আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল থেকে ৩ হাজারের বেশি নেতাকর্মী গ্রেপ্তার : ডিএমপি

মুজিব খুন হওয়ার পর কেন জনগণ মিষ্টি বিতরণ করেছিল, জানালেন বদরুদ্দীন উমর

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫
  • ২২ Time View

ডেস্ক নিউজ : লেখক, গবেষক ও রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর বলেছেন, ১৫ আগস্ট সপরিবারে শেখ মুজিবকে যখন হত্যা করা হয় তখন তার সমর্থনে একটা লোককেও রাস্তায় দেখা য়ায়নি। বরং মানুষ উল্লাস করে মিষ্টি বিতরণ করেছে। মুজিবের সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে এমন অবস্থা তৈরি হয়েছিল যে এটা নিয়ে কখনো আলাপ আলোচনা হয়নি। 

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন। বদরুদ্দীন উমর বলেন, যারা ৭১ সালের যুদ্ধে ভারতে বসে তথাকথিত নেতৃত্ব দিয়েছিল, শেখ মুজিব ক্ষমতায় এসে আড়াই বছরে বাংলাদেশের জনগণকে কিছুই দেয়নি। সাড়ে তিন বছরে আওয়ামী লীগের শাসন থেকে জনগণ কিছুই পায়নি। ১৯৪৭ সালে জনগণের প্রত্যাশা ছিল এই অঞ্চল পাকিস্তান হলে মানুষের সুযোগ সুবিধা বাড়বে, চাকরি হবে ও ভাত-কাপড়ের ব্যবস্থা হবে। কিন্তু কিছুই হয়নি। তেমনি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর শেখ মুজিবের আমলেও কিছুই হয়নি। শেখ মুজিব যে জনগণকে কিছুই দিতে পারেনি তার প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল জনগণ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। 

এই গবেষক আরও বলেন, স্বাধীনতার পর ১০ জানুয়ারি যখন শেখ মুজিবুর রহমান দেশে এলেন লাখ লাখ মানুষ তাকে স্বাগত জানিয়েছিল। রাস্তায় ও রেসকোর্স ময়দানে সংবর্ধনাও জানিয়েছিল। অথচ ১৫ আগস্ট নিষ্ঠুরভাবে সপরিবারে হত্যা করল তার সমর্থনে একটা লোকও দেখা গেল না।  উপরন্ত দেখা গেল, রাস্তায় উল্লাস করে মিষ্টি বিতরণ করছে। শেখ মুজিবের পক্ষে রাস্তার একটি কুকুরও দাঁড়ায়নি।

‘সাড়ে তিন বছরে শেখ মুজিব জনগণকে কিছুই দিতে পারেনি বরং শোষণ নিপীড়ন চরম আকার ধারণ করেছিল।  শেখ মুজিব ১৯৭২ সালেই রক্ষী বাহিনী গঠন ও নিরাপত্তা আইন করে জনগণের ওপর জুলুম করে হাজার হাজার লোককে মেরে ফেলেছে। এরপর আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। এতে শেখ মুজিবের যে জনপ্রিয়তা ছিল সব মুছে গেল’। আওয়ামী লীগ কখনো জনগণের চেতনাকে ধারণ করেনি মন্তব্য করে তিনি বলেন, জনগণের চেতনা আর আওয়ামী লীগের চেতনা এক জায়গায় ছিল না। ফলে এক শ্রেণির লোকজন প্রচুর ধন সম্পদের মালিক হতে লাগল কিন্তু জনগণ কিছুই পেল না।  এর ফলে ৭৫ এর ঘটনা ঘটল।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিষয়ে জানতে চাইলে বদরুদ্দীন উমর বলেন, চেতনা বলতে কী বোঝায়? কার চেতনা, কীসের ৭১ এর চেতনা? সে সময় অনেকেই তো লড়াই করেছে। কৃষক-শ্রমিক মধ্যবিত্তরা লড়াই করেছে। আওয়ামী লীগও লড়াই করেছে। শেখ মুজিব পাকিস্তানের জেলে বসে থেকেছে। লড়াই করেনি। আওয়ামী লীগের অন্য নেতারাও বিশেষ করে তাজউদ্দিন কলকতায় বসে থেকে লড়াই করেছে।

সবার চিন্তা এ রকম। ৭১ এর চিন্তা আলাদা করে কিছু নেই। নানা মহলে নানাভাবে চিন্তা হয়েছে। তখন সাধারণ জনগণ যেটা মনে করেছিল ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের তাড়িয়ে দিয়ে তারা দুধে-ভাতে থাকবে, দেশ থেকে নানারকম নির্যাতন শোষণ-নিপীড়ন চলে যাবে। সে রকম কিছুই দেশ স্বাধীনের পর বাংলাদেশ আমলে দেখা গেল না। 

 

 

কিউএনবি/আয়শা/০৮ মে ২০২৫, /বিকাল ৪:৩৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit