শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে কড়াকড়ি, সর্বনিম্ন শরণার্থী গ্রহণের সীমা ঘোষণা ট্রাম্পের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৫০৬ জন শেখ হাসিনাসহ ২৬১ পলাতক আসামির বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি সংস্কার কমিশন বয়কট করা উচিত ছিল বিএনপির : আব্দুল্লাহ তাহের শার্শা বিএনপি’র আয়োজনে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত আশুলিয়ায় ধামসোনা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের লিফলেট বিতরণ  মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ গ্রেপ্তার ৭৯০ বাধ্যতামূলক সেনা নিয়োগের বিরুদ্ধে ইসরাইলে ব্যাপক বিক্ষোভ গণভোট ও নির্বাচন নিয়ে যে বার্তা দিলেন প্রেস সচিব আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল থেকে ৩ হাজারের বেশি নেতাকর্মী গ্রেপ্তার : ডিএমপি

ইউনূসের বক্তব্যে তোলপাড় ভারত, তীব্র প্রতিক্রিয়া

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১১০ Time View

ডেস্ক নিউজ : বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক চীন সফরে ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য নিয়ে দেওয়া বক্তব্য নিয়ে ভারতে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ভারতীয় রাজনীতিক ও নীতিনির্ধারকরা এই মন্তব্যকে ভারতের সার্বভৌমত্বের প্রতি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন এবং কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

চীনে এক আলোচনায় ড. ইউনূস বলেন, “ভারতের সেভেন সিস্টার্স নামে পরিচিত সাতটি রাজ্য সম্পূর্ণরূপে স্থলবেষ্টিত। তাদের সমুদ্রের সঙ্গে কোনো সরাসরি সংযোগ নেই। আমরাই এই অঞ্চলের জন্য সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক।”

এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ভারতের কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়। যদিও ভারত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি, তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সঞ্জীব সান্যাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রশ্ন তুলেছেন, “ভারতের সাতটি রাজ্য স্থলবেষ্টিত হওয়ার তাৎপর্য আসলে কী?”

ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার বীণা সিক্রি এই মন্তব্যকে ‘অবাক করা’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, “উত্তর–পূর্ব ভারত ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, এবং বঙ্গোপসাগরে প্রবেশাধিকারের বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার এ ধরনের মন্তব্য করার কোনো অধিকার নেই।”

ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ প্রফুল্ল বকশি ড. ইউনূসের বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “ভারত বাংলাদেশ তৈরি করেছে এবং তা করার সময় কোনো মানচিত্রগত সুবিধা নেয়নি। এখন বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তান মিলে শিলিগুড়ি করিডর ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে শ্বাসরুদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করছে।”

তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, “বাংলাদেশ যদি ভারতের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, তবে ভারতও পাল্টা ব্যবস্থা নিতে পারে। ভারত চাইলে সমুদ্রপথ ব্যবহার করে বাংলাদেশকে চাপে ফেলতে সক্ষম। ভারত সরকার বিষয়টি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।”

আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমান্ত বিশ্বশর্মা এক্সে লিখেছেন, “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মন্তব্য আপত্তিকর ও নিন্দনীয়। এটি ভারতের কৌশলগত চিকেনস নেক করিডরের দুর্বলতাকে সামনে নিয়ে এসেছে। ভারতের উচিত উত্তর–পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের বিকল্প সংযোগ স্থাপনে আরও জোর দেওয়া।”

ড. ইউনূসের বক্তব্য নিয়ে ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসও কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। দলটির গণমাধ্যম ও প্রচার বিভাগের প্রধান পবন খেরা বলেন, “বাংলাদেশ চীনকে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে চাইছে, যা উত্তর–পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। সরকার মণিপুরকে অবহেলা করছে এবং চীন ইতিমধ্যেই অরুণাচলে গ্রাম স্থাপন করেছে।”

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ড. ইউনূসের বক্তব্যের ভিডিওতে তাঁকে আরও বলতে শোনা যায়, “আমরা এই পুরো অঞ্চলের জন্য সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক। এটি এক বিশাল সম্ভাবনার উন্মোচন করে। এটি চীনা অর্থনীতির সম্প্রসারণের সুযোগও সৃষ্টি করতে পারে।”

এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনার সৃষ্টি হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তবে বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।

কিউএনবি/অনিমা/০১ এপ্রিল ২০২৫,/বিকাল ৪:৪০

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

November 2025
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit