মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন

শর্তে যুদ্ধবিরতিতে রাজি পুতিন

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫
  • ৪২ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাজি আছেন, তবে এর সঙ্গে শর্ত জুড়ে দিতে চান তিনি। শেষ পর্যন্ত কী কী শর্ত দেবেন এবং সেগুলোর পর শান্তি চুক্তির বিষয়টি কী দাঁড়াবে সে ব্যাপারে অনেক প্রশ্ন রয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার মস্কোয় এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় পুতিন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব সম্পর্কে বলেন, “ধারণাটি সঠিক এবং আমরা এটিকে সমর্থন করি, তবে এমন প্রশ্ন রয়েছে যেগুলো নিয়ে আমাদের আলোচনা করা দরকার।”

যুদ্ধবিরতি এমন হওয়া উচিত যা “একটি স্থায়ী শান্তির দিকে পরিচালিত করবে এবং এই সংকটের মূল কারণগুলো দূর করবে”, বলেন তিনি।

“আমাদের আমেরিকান সহকর্মী এবং অংশীদারদের সাথে আলোচনা করতে হবে। সম্ভবত আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলবো” যুক্ত করেন পুতিন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, “৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি ইউক্রেনের জন্য ভালো হবে। আমরা এর পক্ষে। তবে এর কিছু অস্পষ্টতাও রয়েছে।”

বিবাদের ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে একটি হলো রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চল। পুতিন বলেছেন, যেখানে ইউক্রেন গত বছর একটি সামরিক আগ্রাসন শুরু করেছিল এবং কিছু অঞ্চল দখল করেছিল। তিনি দাবি করেছেন, রাশিয়া সম্পূর্ণরূপে কুরস্কের নিয়ন্ত্রণে ফিরে পেয়েছে এবং সেখানে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের “কোণঠাসা” করা হয়েছে।

যুদ্ধবিরতি কীভাবে কাজ করবে সে বিষয়ে কিছু প্রশ্নের রূপরেখা তুলে ধরে পুতিন জিজ্ঞেস করেন, “৩০ দিনের এই সময়টা কীভাবে কাজে লাগবে? ইউক্রেনকে সংগঠিত করার জন্য? পুনরায় অস্ত্র দিতে? মানুষকে প্রশিক্ষণ দিতে? নাকি এর কোনোটিই নয়? তারপরের প্রশ্ন- কীভাবে এটি নিয়ন্ত্রণ করা হবে?”

“যুদ্ধ শেষ করার নির্দেশ কে দেবে? কী মূল্যে? কে সিদ্ধান্ত নেবে যে দুই হাজার কিলোমিটারেও বেশি এলাকায় কে কোন সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করেছে? এই সমস্ত প্রশ্নের জন্য উভয় পক্ষের সূক্ষ্মভাবে কাজ দরকার। এসবের নীতি কে ঠিক করবে?”

পুতিন সরাসরি না বলেননি এই কথা উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলছিলেন, “আসলে তিনি প্রত্যাখ্যানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পুতিন অবশ্যই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সরাসরি বলতে ভয় পাচ্ছেন যে তিনি এই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চান এবং ইউক্রেনীয়দের হত্যা করতে চান।”

রাশিয়ান নেতা এতগুলো পূর্ব-শর্ত বেঁধে দিয়েছেন যার ফলে “কিছুই কার্যকর হবে না”, যুক্ত করেন জেলেনস্কি।

পুতিনের মন্তব্য এবং এ বিষয়ে জেলেনস্কির প্রতিক্রিয়ার পরে এখন উভয়পক্ষের মধ্যে বিভাজন স্পষ্ট হয়েছে।

ইউক্রেন একটি দুই স্তরের একটি প্রক্রিয়া চায়– প্রথমে একটি দ্রুত যুদ্ধবিরতি এবং এরপর একটি দীর্ঘমেয়াদী নিষ্পত্তির আলোচনা।

রাশিয়া বিশ্বাস করে, এই দুটি প্রক্রিয়া আলাদা করা সম্ভব না এবং সব সমস্যা একটি একক চুক্তির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা।

উভয় পক্ষকে তাদের নিজ নিজ চুক্তির পক্ষে তর্ক চালিয়ে যাওয়ার শক্ত অবস্থানে দেখা যাচ্ছে।

ইউক্রেন বিশ্বাস করে, তারা রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তবে রাশিয়াকে শান্তির বিষয়ে অনিচ্ছুক এবং সময় ক্ষেপণের চেষ্টাকারী হিসেবে দেখাতে চায়।

এদিকে, রাশিয়া বিশ্বাস করে যে ন্যাটো সম্প্রসারণ এবং ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব সম্পর্কে তার মৌলিক উদ্বেগগুলো উত্থাপনের সুযোগ রয়েছে এখন।

তবে এটি ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য একটি সমস্যা। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে তিনি দ্রুত ফলাফল চান, কয়েক দিনের মধ্যে লড়াই শেষ করতে চান।

যদিও ট্রাম্প বলেছিলেন, “বল এখন রাশিয়ার কোর্টে””, কিন্তু এই মুহূর্তে পরিস্থিতি বলছে পুতিন হয়তো “বল খেলতে চান না”।

সূত্র : বিবিসি

কিউএনবি/অনিমা/১৪ মার্চ ২০২৫,/বিকাল ৫:০৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

July 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit