শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ০২:৩৭ অপরাহ্ন

মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে কুপিয়ে জখম

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫
  • ৩৯ Time View

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর কবিরহাটে কলেজ ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ওই ছাত্রীর বাবাকে মাথায় কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করা হয়েছে। হামলায় আহত ওই ছাত্রীর বাবা মিজানুর রহমান মিজান ওরফে মিলনকে (৫৫) মাথায় অপারেশন করার পর তিনি এখনো চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। গত শুক্রবার (৭ মার্চ) রাত ১০টার দিকে উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের মির্জানগর গ্রামের রায় বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত মিলন একই বাড়ির মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। অপরদিকে,অভিযুক্ত সঞ্চয় রায় (২৫) একই বাড়ির দেবরাজ রায়ের ছেলে। হামলার শিকার মিলনের ছোট ভাই ফরিদ অভিযোগ করে বলেন, তার বড় ভাই মিলনের উপজেলার কবিরহাট বাজারে একটি ইলেকট্রিক দোকান রয়েছে। তিনি ব্যবসার পাশাপাশি ইলেকট্রিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। মেয়ে মাইনুর আক্তার মিম (২৪) নোয়াখালী সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।

গত ১৫-২০ দিন আগে বিকেলে মিম আমাদের পুরান বাড়ি থেকে নতুন বাড়ি যাওয়ার পথে সঞ্চয় তার গতিরোধ করে টানাটানি শুরু করে। মিম তখন ভয়ে কাউকে কিছু জানায়নি। ওই দিন থেকে সঞ্চয় নানা ভাবে মিমকে উক্ত্যক্ত করতে থাকে। তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, মিমের কাছে পাত্তা না পেয়ে ওই যুবক মিমের চাচাতো বোন স্থানীয় নরোত্তমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী জান্নাতুল নাঈমকে নুনকে (১৪) উক্ত্যত শুরু করে। গত বৃহস্পতিবার ৬ মার্চ রাতে বসতঘরের নুনের শয়ন কক্ষের জানালার সামনে দাঁড়িয়ে অশ্লীল কথাবার্তা বলে জানালায় ধাক্কাধাক্কি শুরু করে সঞ্চয়। নুনের দাদুু হালিমা খাতুন (৭৫) বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তাৎক্ষণিক ঘরের বাহিরে এসে সঞ্ঝয়কে হাতেনাতে ধরে। এরপর সে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। মেয়েদের ইভটিজিংয়ের ঘটনার জের ধরে গত শুক্রবার ৭মার্চ রাত ১০টার দিকে আমার বড় ভাই মিলন সঞ্ঝয়ের ঘরের সামনে গিয়ে তার অপকর্মের বিষয় গুলো তার বাবাকে জানান।

এতে সঞ্ঝয় ক্ষিপ্ত হয়ে ঘর থেকে চাইনিজ কুড়াল নিয়ে বের হয়ে এলাপাতাড়ি কোপাতে শুরু করেন। একপর্যায়ে সঞ্ঝয়ে চাইনিজ কুড়ালের কোপে মিলনের মাথা কেটে চৌচির হয়ে যায়। বর্তমানে মিলন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ওই সময় বড় ভাইকে মিলনকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তার ছোট ভাই ফরিদের ওপরও হামলা চালানো হয়। এমনকি শৌরচিৎকার শুনে এগিয়ে আসলে ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইয়ুবও হামলার শিকার হয়। অভিযোগের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত সঞ্ঝয় ও তার বাবাকে পাওয়া যায়নি। সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, ঘটনার পর থেকে তাদের পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে কবিরহাট থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো.মন্জুর আহমদ বলেন, এ রকম একটা সংবাদ আমরা পেয়েছি। তবে কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বার্তা প্রেরক

কিউএনবি/অনিমা/০৯ মার্চ ২০২৫,/সকাল ১১:৫২

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

July 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit