লুৎফুন্নাহার রুমা,ব্যুরো চিফ ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মোঃ সফিকুল ইসলাম খান চৌখস ও মানবিক গুণাবলি সম্পন্ন একজন অফিসার। একসময় পুলিশ দেখলে সাধারণ মানুষ ভয় পেতো। ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানাধীন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সাধারণ মানুষ প্রশংসা করছেন কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের সেবায়। কারণ পুলিশিং সেবায় ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ সফিকুল ইসলাম খান। বিশেষ করে তিনি যে এলাকাতেই যান না কেন কোমলমতি শিশুরা তাকে দেখলেই তার কাছে ছুটে আসে।
কোতোয়ালী থানার আইনসৃংঙ্খলা রক্ষায় প্রতিটি এলাকাতেই ছুটে চলেছেন ওসি সফিকুল ইসলাম খান সহ পুলিশ সদস্যরা। কোতোয়ালি থানার প্রতিটি এলাকার দুই পক্ষের দ্বন্দ মিটাতে বিভিন্ন ভাবে তিনি সাধারণ মানুষকে সচেতন করেছেন। কোতোয়ালি থানার প্রতিটি এলাকার সাধারণ মানুষ ওসি সফিকুল ইসলামের কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। থানা সূত্রে জানা যায়, ওসি সফিকুল ইসলাম খান এই থানায় যোগদান করার পর থেকেই এই থানার আগে চিত্র তিনি পাল্টে দিয়েছেন, থানাকে বানিয়েছেন জনগণের ভরসাস্থল।
যোগদানের পর থেকেই কোতোয়ালি থানার আইনসৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নত করেছেন। বিশেষ করে মাদক, সন্ত্রাস, চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মারামারিসহ সকল অপরাধ নিষ্ক্রিয়ভাবে দমন করতে সফল হয়েছেন। থানায় আগত সেবা গ্রহিতাদের চা-বিস্কুট দিয়ে আপ্যায়ন করান তিনি। সাধারণ ডায়েরি বা অভিযোগ কোন কিছু করতেই আর টাকা লাগে না। ডায়েরি ও অভিযোগ লেখার জন্য রাখা হয়েছে একজন পুুলিশ সদস্য রাইটারকে। যে কোন ঘটনায় নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করেন এবং দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন ওসি।
বিভিন্ন এলাকার কয়েকজন সেবা গ্রহিতার সাথে কথা বললে তারা জানান, যে কোন অভিযোগ নিয়ে গেলে তৎক্ষনাৎ সেটির কার্যক্রম শুরু করে দেন ওসি। তাছাড়াও তার অফিসে ঢুকতে কারো অনুমতি লাগে না। অফিসে যে কোন সমস্যা নিয়ে গেলেই ওসি নিজ দায়িত্বে পর্যবেক্ষন করেন এবং বিভিন্ন ভাবে আপ্যায়ন করে থাকেন। পুলিশের এমন ব্যবহার সকল সময় থাকলে আইনসৃঙ্খলার কোন অবনতি হবে না বলেও অনেকে জানান। তিনি যোগদানের পর থেকে এ এলাকার জনগণের কাছে পুলিশ অফিসার নয়, বরং সেবক ও বন্ধু হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
বিপদে আপদে পুলিশি সেবা দিয়ে সাধারণ মানুষের মন কেড়েছেন তিনি। ময়মনসিংহ জেলার মধ্যে অপরাধ প্রবণ ও ব্যস্ততম থানা কোতোয়ালি মডেল থানা কিছু চাঞ্চল্যকর মামলার মোটিভ উদঘাটনসহ বিরোধপূর্ণ ঝামেলা গুলোর সুষ্ঠু সমাধান দিয়েছেন। সর্বস্তরের মানুষের কাছে জনবান্ধন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে ইতোমধ্যে কোতোয়ালী এলাকাতে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন ওসি সফিকুল ইসলাম খান। কোতোয়ালি মডেল থানাকে দালালমুক্ত ও জনবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তিনি যোগদানের পর থেকে সবমিলিয়ে নিয়মিত মামলা রেকর্ড হয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ।
এছাড়া মিথ্যা মামলা যাতে না হয় সে বিষয়ে তিনি সব সময় খেয়াল রাখেন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের সাথে মিলে মিশে কাজ করে যাচ্ছেন এবং পুলিশি সেবা আরও জোরদার করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন। কোতোয়ালী মডেল থানার এক সচেতন নাগরিক চর ঈশ্বরদিয়ার মফিদুল ইসলাম বলেন, আমি জানি ওসি সফিকুল ইসলাম খান এই থানায় যোগদানের পর থেকে প্রায় ৯০ শতাংশ মাদক কমিয়ে আনা হয়েছে এবং বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ ও সচেতনতনার মাধ্যমে একেবারেই কমে গেছে, নেই বললেই চলে।
সিরতা ইউনিয়নের আশরাফুল আলম বলেন, থানায় তিনি যোগদানের পর থেকে স্কুল, কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা, বাল্য বিবাহ, মাদক, ইভটিজিং, মোবাইল’র অপব্যবহারসহ সচেতনামূলক বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিশেষ ক্লাস নিয়ে থাকেন। পরানগঞ্জ ইউনিয়নের হাফেজ মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন তিনি চান এই থানার একজন মানুষও যেন হয়রানি না হয়। এভাবেই বহুজনের কথাগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় মানবিক পুলিশ অফিসার তিনি। এজন্য তিনি সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সফিকুল ইসলাম খান এর বক্তব্য মতে, পুলিশ জনগণের বন্ধু। মানুষের যে কোন সমস্যায় পুলিশ সবসময় পাশে থাকবে। সাধারণ মানুষের সাথে ভালো ভাবে মিশতে পারলে যে কোন সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হওয়া যায়। তাছাড়াও আমি চেষ্টা করি সকলের সাথে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক রাখতে। যে কেউ যে কোন সময় যেন তার সমস্যার কথা অনায়াসে খুলে বলতে পারেন। আর থানায় আগত সকলকে আপ্যায়ন করা হয়।
কেন না মানুষ তার সমস্যা নিয়ে থানায় আসে সমাধানের লক্ষ্যে। প্রতিটি সেবা গ্রহিতার সাথে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের প্রতিটি সদস্য সুন্দর ব্যবহার করে তাদের সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
কিউএনবি/আয়শা/২৩ জানুয়ারী ২০২৫,/রাত ১০:৫৫