আহত সাইদুলের স্ত্রী সাহিদা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমার বাসার সামনে স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জিল্লুর মাস্টারের ছোট ভাই জহুরুল এর নেতৃত্বে রাজিব, শাকিল, রাসেল, মাঠঠু, শাহাদুল ও আসাদুল সহ ১৪-১৫ জন নিজেদের মধ্যে বিবাদ হয়। এই বিবাদকে কেন্দ্র করে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হঠাৎ আমার বাসায় ঢুকে ভাংচুর চালাতে থাকে। তখন আমি ঘর থেকে বের হয়ে বাধা দিতে গেলে জহুরুল আমার গলা ধরে ধাক্কা দিয়ে দেয়ালের সাথে ফেলে দেয়। এসময় আমার স্বামী বাধা দিলে তার গলা চেপে ধরে রাখে। এরপরে আমার বাড়ীর সকলকে জিম্মি করে রাখে। এসময়ে তারা আমার বাসার আসবাবপত্র ও দুইটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। পরে আমার বাড়ীর লোকজন দরজা-জানালা ভেতর থেকে লাগিয়ে দেয়। এতে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে লোহার রড দিয়ে দরজা-জানালা ভাংচুর করতে থাকে এবং বাসার নারীদের জামা-কাপড় টেনে ছিড়ে ফেলে। এঘটনায় আমার ছেলে সজিবের বন্ধু আশিক বাধা দিলে, তার অফিসও ভাংচুর করে। তারা আমাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও চলে যায়। এঘটনায় আশুলিয়ায় থানায় অভিযোগ দিয়েছি এবং আমি এই হামলার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।
এব্যাপারে অভিযুক্ত জহুরুলের বড় ভাই স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জিল্লুর মাস্টার বলেন, এঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানতাম না। তবে মুঠোফোনের মাধ্যমে জানতে পারি ফুটপাতের চাঁদা তুলায় বাঁধা দিলে আমার ছোট ভাই জহুরুলকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রেখেছেন আসিক ও সজিব। পরে আমি আশুলিয়া থানায় অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এবিষয়ে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মদনচন্দ্র সাহা বলেন, এ ঘটনায় থানায় আহত সাইদুলের স্ত্রী সাহিদা বেগম অভিযোগ করেছেন। তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কিউএনবি/অনিমা/০৩ জানুয়ারী ২০২৫,/সন্ধ্যা ৬:২১