এবার তারই গল্প তুলে ধরা হয়েছে সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি পাঠ্যবইয়ের নিউ জেনারেশন অধ্যায়ে। স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের তীব্র ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে এ দুই গান ও তার শিল্পীকে শিক্ষার্থীদের বইয়ে তুলে ধরা হয়েছে।
নিউ জেনারেশন নামের সে অধ্যায়ে তাদের পরিচয় শুরু হয়েছে এভাবে…সেজানের কথা ক গানটি শুনেছেন? পুরনো প্রজন্ম অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সময় বেশি নিলেও নতুন প্রজন্মের সে সময়ের প্রয়োজন হয় না। পুরনো প্রজন্ম থেকে নতুন প্রজন্ম সাহসী এবং ব্যতিক্রম। সে মর্মবাণীই তুলে ধরা হেয়েছে পাঠ্যবইয়ে।
২০২৪ সালের জুলাই বিদ্রোহের সংগীতে পরিণত হওয়া এ দুই গানের শিল্পী পাঠ্যবইয়ে নিজেদের নাম দেখে আবেগে আপ্লুত। নিজের অনুভূতি জানিয়ে হান্নান বলেন, ‘এখন গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, বাংলা র্যাপ বহুত বড় ব্যাপার, এডা অহন আর আন্ডারগ্রাউন্ডে নাই। সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। এখন আমাদের গল্প বইয়ের পাতায় পড়তে পারবেন সবাই।’
মুহাম্মদ সেজান বলেন, ‘এই র্যাপ সংগীত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টার ড্রপ করেছি। এখন স্কুলে আমাদের গল্প পড়ানো হবে। জনগণের কাছে চিরকৃতজ্ঞ আমরা।’
হান্নান ও সেজান দুজনেরই বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। দুজনেরই র্যাপ সংগীতে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু ২০১৮ সালে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা মেনে নিতে পারেননি হান্নান ও সেজান। এরপরই গানের মাধ্যমে প্রতিবাদী আওয়াজ তোলেন। নেটদুনিয়ায় গান প্রকাশ পাওয়ার পরই তা দ্রুত ভাইরাল হতে শুরু করে। আন্দোলনে সাহস ও প্রেরণার উৎস হয়ে ওঠে তাদের সে গান।