লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : শিম, শিমের বিচির পাশাপাশি শিমের পাতাও শাক হিসেবে খাওয়া যায়। আসুন জেনে নিই শিমের বিচির গুণাগুণ সম্পর্কে:
১০০ গ্রাম গরুর মাংসে ২২ দশমিক ৬ গ্রাম এবং মুরগির মাংসে রয়েছে ২৫ দশমিক ৯ গ্রাম আমিষ। অথচ ১০০ গ্রাম শিমের বিচিতে আমিষ আছে ২৪ দশমিক ৯ গ্রাম। অর্থাৎ শিমের বিচিতে আমিষের পরিমাণ গরুর মাংসের চেয়ে বেশি এবং মুরগির মাংসের প্রায় সমান।
আমাদের দেশে শিশুসহ বয়স্ক ব্যক্তিদের অনেকেই আমিষের অভাবজনিত রোগ কোয়াশিওরকরে আক্রান্ত হয়। এ রোগে আক্রান্ত শিশুরা বাড়ে না, দেহের ক্ষয়পূরণ হয় না, কর্মক্ষমতা কমে গিয়ে হাত-পা শুকিয়ে যায়, পেট বড় হয়ে যায়। এছাড়া স্মরণশক্তি কমে যায় এবং পড়াশোনায় ও খেলাধুলায় নিষ্প্রাণভাব দেখা দেয়। শিমের বিচি দ্রুত এই রোগ থেকে মুক্তি দেয়।
প্রোটিনের অভাবে কোয়াশিয়রকর নামে একধরনের রোগ হয়। এ রোগে দেহের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। শরীরের ওজন কমে যায়, পানি জমে। হাত-পা শুকিয়ে যায়, পেট বড় হয়ে যায়। বাড়ন্ত ছেলেমেয়েদের স্মরণশক্তি কমে যায় এবং পড়াশোনা ও খেলাধুলায় আগ্রহ থাকে না। বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক শিশু প্রোটিনের অভাবে ভুগছে। অনেক দামি খাবারে নয়, কম দামি খাবারেও অনেক পুষ্টি আছে, যা শিমের বিচির পুষ্টিগুণ দেখেই বোঝা যায়।
যারা নিরামিষভোজী, মাছ বা মাংস, ডিম, দুধ ধর্মীয় কারণে খেতে চান না, তাদের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করবে এই শিমের বিচি। ভেজিটেবল প্রোটিনে ভরা এই খাবার শরীরে প্রোটিনের দরকার এমন সব মাংসপেশিকে যথাযথ প্রোটিনের জোগান দেয়।
এছাড়া শিমের বিচিতে আছে ক্যালসিয়াম, যা হাড়কে শক্ত করে। বয়স বাড়লে যে কেউ অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হতে পারে। নারীদের আক্রান্তের হার বেশি। এ ক্ষেত্রে শিমের বিচি খুবই উপকারী। এতে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড।
শিমের বিচিতে আঁশের পরিমাণ বেশি থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে। স্তন্যদায়ী মায়েদের জন্য শিমের বিচি ভীষণ উপকারী, দুধ বাড়ে। যাদের ওজন বেশি, তাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। বর্তমানে ক্যানসারের প্রকোপ বিশ্বব্যাপী আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। আর শিমের বিচিতে আছে আট ধরনের ফ্ল্যাভোনয়েড, যা প্রতিকার করতে না পারলেও ক্যানসার সেলের প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। হার্টের সুরক্ষায় বেশ কার্যকর এই শিম বিচি।
কিউএনবি/আয়শা/২৭ নভেম্বর ২০২৪,/সন্ধ্যা ৬:৫০