রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজের গার্হস্থ্য বিজ্ঞাপ বিভাগের শিক্ষিকা প্রভাষক মোছাঃ শিউলি খাতুন’র বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনের অভিযোগ উঠেছে। গত-(২৬.১২.২০১৮) ইং তারিখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজে গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন, মোছাঃ শিউলি খাতুন তার পিজিডিএড অথবা বি.এড ডিগ্রী না থাকায় তিনি২০২১/২২ সেশনে ১৯ তম ব্যাচে বিএড ডিগ্রী অর্জনের জন্য ভর্তি হোন পরীক্ষায় নকল করতে গিয়ে এক্সফেল হোন তখন তিনি পিজিডিএড ও বি.এড ডিগ্রী অর্জন না করেই তার চাকরি স্থায়ী করনের জন্য আদালতে রিট আবেদন করেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মোঃ আব্দুস সোবহান’র আপন শালিকার ছেলের বউ হওয়ার কারণে মোছাঃ শিউলি খাতুন’কে গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ দেন সেই সময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে গার্হস্থ্য বিজ্ঞান সাবজেক্ট টি অনুমোদন ছিল না। মোছাঃ শিউলি খাতুন’কে নিয়োগ দেয়ার পরে তড়িঘড়ি করে সাবজেক্ট টি অনুমোদন করে নিয়ে আসেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মোঃ আব্দুস সোবহান, মোছাঃ শিউলি খাতুন তার আপন শালিকার ছেলের বউ হওয়ার কারণে বিশেষ সুবিধা দিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল এন্ড কলেজে শুধুমাত্র একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ক্লাস নেয়ার অনুমোদন দেন মোছাঃ শিউলি খাতুন’কে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষক নিয়োগ সার্কুলারে উল্লেখ করা হয় যে, একজন শিক্ষক’কে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হতে এম.এড অথবা পিজিডিএড অথবা বি.এড ডিগ্রী কমপক্ষে জিপিএ ২.৫০ (৪.০০) অথবা ২য় শ্রেণি থাকতে হবে। এম.এড অথবা পিজিডিএড অথবা বি.এড ডিগ্রী না থাকে তবে নিয়োগ প্রাপ্তির ২ বছরের মধ্যে স্ব-উদ্যোগে উক্ত ডিগ্রী অর্জন করতে হবে। অন্যথায় চাকুরী স্থায়ীকরণ করা হবে না।
মুঠোফোনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল এন্ড কলেজ’র গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোছাঃ শিউলি খাতুন’র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বি.এড পরীক্ষার আগের দিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর)’র বর্তমান স্কুল এন্ড কলেজ’র পরিদর্শক প্রফেসর ড.খালেকুজ্জামান(মিজান) আমাকে মুঠোফোনে কল দেন তিনি আমাকে বলেন ভাবি আগামীকাল আপনি সাবধানে পরীক্ষা দিতে আসবেন আপনি জানেন গতকাল একজনকে এক্সফেল করা হয়েছে আপনাকেও এক্সফেল করা হতে পারে।
এরপর আমি পরীক্ষার রুমে প্রবেশ করলে,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর)’র বর্তমান পরিচালক প্রফেসর ড.আক্তার বানু ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর)’র স্কুল এন্ড কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর ড.খালেদউজ্জামান(মিজান)সহ আরও একজন শিক্ষক ডিউটি’রত ছিলেন, তাঁরা তিনজনই রুম থেকে বের হয়ে গিয়ে ৭/৮ মিনিট পরে আক্তার বানু মেডাম রুমে ঢুকবেন তাঁর এক মিনিট আগ মুহূর্তে গাফফার নামে একজন পিওন ছিলেন তিনি আমাদের সকল’কে সচেতন করে দিলেন মেডাম রুমে ঢুকবেন, প্রফেসর ড. আক্তার বানু মেডাম রুমে এসেই আমার দুই হাত চেপে ধরেন এবং আমাকে এক্সফেল করেন। আমার ধারণা আমার সাথে এই ঘটনা টি পূর্ব-পরিকল্পিত ভাবে ঘটানো হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আমার চাকরি স্থায়ী করনে কোনো সমস্যা আছে বলে আমি মনে করি না কারণ আমাদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অধ্যাদেশ,-২০১০ এ বলা আছে যে ৪০ অধিক বয়সি বর্তমানে কর্মতর কোনো শিক্ষক’কে পিজিডিএড, বি.এড ডিগ্রী অর্জন করা লাগবে না সেই কারণে আমি উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেছি আমার চাকরি স্থায়ী করনের জন্য রিট আবেদন টি আদালতে চলমান আছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর)’র বর্তমান স্কুল এন্ড কলেজ’র পরিদর্শক প্রফেসর ড.খালেদউজ্জামান(মিজান)’র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটা সম্পন
মিথ্যাচার আমি সকল পরীক্ষার্থীদের হলে সতর্ক করি আপনারা কেউ নকল করবেন না আপনাদের ফাস্ট ক্লাস পেতেই হবে এমন কিছু না এটা সন্ধ্যা কালীন কোর্স করতে এসেছেন এই কথা বলে আমি সতর্ক করি, মোছাঃ শিউলি খাতুন তিনি একজন পরীক্ষার্থী ছিলেন তিনি নকল করছিলেন সেই মুহূর্তে তাকে প্রফেসর ড. আক্তার বানু, নকল সহ ধরেন মোছাঃ শিউলি খাতুন কে ইনিস্টিউট কমিটির ১৬১তম সভায় নকল করল করনের বিষয়ে অফিসিয়ালি অবগত করে তাকে পরীক্ষা থেকে এক্সফেল করা হয়েছে।
এব্যাপারে, অত্র শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষক’কের সাথে কথা হলে তারা নাম না প্রকাশ করার শর্তে প্রতিবেদক কে বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বিভাগের সাবজেক্ট টি অনুমোদন ছিল না মোছাঃ শিউলি খাতুনকে নিয়োগ দেয়ার পরে তড়িঘড়ি করে সাবজেক্ট টি অনুমোদন করে নিয়ে আসেন আর মোছাঃ শিউলি খাতুন শুধুমাত্র একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ক্লাস নেয়ার অনুমোদন দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মোঃ আব্দুস সোবহান।
মোছাঃ শিউলি খাতুন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মোঃ আব্দুস সোবহান’র আপন শালিকার ছেলের বউ হওয়ায় তিনি নিয়মিত ক্লাস নিতে আসতেন না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তখন শিক্ষক’দের শতভাগ উপস্থিতির জন্য শিক্ষক’রা ডিজিটাল ফিঙ্গার ডিভাইস বসানোর জন্য মৌখিক ভাবে আহবান করেন অধক্ষ্য’র কাছে, বিষয় টি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মোঃ আব্দুস সোবহান জান্তে পারলে তিনি ডিভাইস টি বসাতে নিষেধাজ্ঞা দেন কারণ একটাই তার আপন শালিকার ছেলের বউ মোছাঃ শিউলি খাতুন যে নিয়মিত ক্লাস নিতে আসতেন না সেটা ঢাকতেই ডিভাইস টি বসাতে নিষেধাজ্ঞা দেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধক্ষ্য ড. আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি নতুন ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে আছি এবিষয়ে বেশি কিছু বলতে পরাবো না শুনেছি মোছাঃ শিউলি খাতুন, পিজিডিএড বি.এড পরীক্ষা দিতে গিয়ে এক্সফেল হয়ে ছিলেন। এর বেশি আমি কিছু বলতে পরাবো না। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজে ভর্তি’রত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক’রা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজ রাজশাহী মধ্যে সুনামধন্য একটি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান এই প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষিকা পরীক্ষা দিতে গিয়ে এক্সফেল হয়েছিল এটা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য লজ্জাজনক বিষয় আর একজন নকল করতে গিয়ে এক্সফেল হওয়া শিক্ষিকা আমাদের ছেলেমেয়েদের কি শিক্ষা দিবেন তা আমাদের বোধগম্য নয় তাই আমাদের মনে হয় নকল কান্ডে জড়িত শিক্ষিকার ব্যাপারে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভাবা উচিত