স্পোর্টস ডেস্ক : মানবাধিকার লঙ্ঘন, সমকামিতার বিরোধিতা ও শ্রমঅধিকার আইন লঙ্ঘনের মতো অভিযোগের খড়গ মাথায় নিয়ে ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিলো কাতার। যা নিয়ে শুরু থেকেই প্রতিবাদ করে ইউরোপের ৭ দেশ। প্রতিবাদ স্বরূপ ওয়ান লাভ লেখা আর্মব্যান্ড পরে ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। তবে ফিফার শাস্তির হুমকিতে শেষ পর্যন্ত সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি সাত দেশের।
তবে প্রতিবাদের অভিনব এক পন্থা বেচে নেয় জার্মান জাতীয় ফুটবল দল। জাপানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে হাত দিয়ে মুখ ঢেকে গ্রুপ ফটো তোলে তারা। যদিও জাপানের কাছে সেই ম্যাচটা হেরে যায় চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। সেই সঙ্গে কাতার বিশ্বাকাপে প্রথম রাউন্ডেই বিদায় ঘন্টা বাজে ডাইমেনশ্যাফটদের।
সেই ঘটনার দুই বছর পর এবার তা নিয়ে অনুশোচনা করেছেন জার্মান জাতীয় দলের অধিনায়ক জশুয়া কিমিখ। তার মতে কাতার বিশ্বকাপে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক মতাদর্শে জার্মান জাতীয় দলের অবস্থান করাটা ঠিক হয়নি। যার জন্য ফুটবলাররা খেলায় মনোযোগী হতে পারেনি বলেও মন্তব্য করেছেন এই বায়ার্ন ফুটবলার।
কিমিখ বলেন, ‘আমাদের ফুটবলারদের, বিশেষ করে একজন অধিনায়ক হিসেবে মতাদর্শ থাকা উচিত। তবে সবসময় রাজনৈতিক মতাদর্শ তুলে ধরা আমাদের কাজ নয়। কাতার বিশ্বকাপের কথাই ধরুন। আমরা দল হিসেবে ভালো খেলিনি। আমরা মাঠে রাজনৈতিক মতাদর্শ তুলে ধরেছি। যা আমাদেরকে বিশ্বকাপের আমেজ থেকে দূরে ঠেলে দিয়েছে। কিন্তু আয়োজনের দিক থেকে কাতার বিশ্বকাপ ছিলো দুর্দান্ত।’
বিভিন্ন দেশের মতাদর্শ ও সংস্কৃতিকে সম্মান করা উচিত বলে মন্তব্য করেন কিমিখ। নিজেদের মতাদর্শ অন্যদের ওপর চাপিয়ে না দেয়ারও আহ্বান তার, ‘আমরা পশ্চিমারা মনে করি আমদের মতাদর্শই সেরা। যা সারা বিশ্বের জন্য প্রযোজ্য। তবে তা ঠিক নয়। আমাদেরও ভুল আছে, সেদিকে নজর দেয়া উচিত এবং অন্যদেশের সংস্কৃতিকেও সম্মান করা উচিত।
২০৩৪ বিশ্বকাপ আয়োজন হতে পারে সৌদি আরবে। আর অতিরক্ষণশীল দেশ হওয়ায় আয়োজন নিয়ে বিরোধীতা করছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। সেই সঙ্গে শ্রম আধিকারের বিষয়টি তো রয়েছেই। তবে শেষ পর্যন্ত সৌদিতে বিশ্বকাপ আয়োজিত হলে জার্মানি দল একই ভুল করবে না বলে প্রত্যাশা কিমিখের। জার্মান অধিনায়ক বলেন, ‘আমি আশা করি ১০ বছর পর যারা দলে থাকবে, তারা শুধু খেলাতেই মনোযোগ দেবে। রাজনৈতিক মতাদর্শ বাস্তবায়ন করা আমাদের কাজ নয়। কারণ ফুটবলাররা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ নয়।’
২০৩৪ ফিফা বিশ্বকাপ সৌদি আরবে হওয়া এক প্রকার নিশ্চিত। আয়োজক হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে দেশটি। এখন শুধু ফিফার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার বাকি। যা চলে আসতে পারে আগে মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ফিফার কংগ্রেস থেকে।
কিউএনবি/আয়শা/১৪ নভেম্বর ২০২৪,/সন্ধ্যা ৭:০০