আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ বিদেশে হামলা চালানোর সক্ষমতা এখনো রাখে বলে ইসরাইলকে সতর্ক বার্তা দিয়েছেন মার্কিন শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
তিনি আরও বলেন, লেবাননের এই গ্রুপটি মূলত ইরান থেকে অস্ত্র ও অর্থ পায়। এখনো বিদেশে হামলা চালানোর ক্ষমতা রাখে তারা। ব্রেট হোলমগ্রেন বলেন, আমাদের মূল্যায়ন অনুযায়ী ইসরাইলি সামরিক অভিযানের ফলে হিজবুল্লাহর সামরিক সক্ষমতা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, হিজবুল্লাহ অনেক আগে থেকেই বিশাল রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক শক্তি সংগ্রহ করেছিল। তারা অত্যন্ত শক্ত অবস্থানে শুরু করেছিল।
হিজবুল্লাহ ৮ অক্টোবর গত বছর ইসরাইলি সীমান্তে আক্রমণ শুরু করে। একদিন পরে হামাস ইসরাইলে হামলা চালানোর পর। ইসরাইলের প্রতিক্রিয়া গাজা ধ্বংস করে দিয়েছে এবং লেবাননে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের সূচনা করেছে। মঙ্গলবার হেজবুল্লাহ দাবি করেছে, তারা ইসরাইলি বাহিনীর অন্তত ১০০ সেনাকে হত্যা করেছে এবং এক হাজারেরও বেশি সেনাকে আহত করেছে। যখন ইসরাইল গত মাসে চতুর্থবারের মতো লেবাননে আক্রমণ করেছে।
যদিও গ্রুপটি এখনো তার নিহত যোদ্ধাদের সংখ্যা প্রকাশ করেনি, তবে কিছু অনুমানে এক হাজার জনেরও বেশি হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হতে পারে। ইসরাইল হিজবুল্লাহর নেতৃত্বকে পুরোপুরি ধ্বংস করেছে, যার মধ্যে ১৯৮২ সালে ইসরাইলের লেবানন আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় গঠিত হিজবুল্লাহর শীর্ষ কর্মকর্তারা নিহত হয়েছেন। এই আক্রমণ ছিল প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (PLO) বাহিনীকে লেবানন থেকে উৎখাত করার জন্য, যা পরবর্তীতে হিজবুল্লাহকে একটি প্রতিরোধ আন্দোলন হিসেবে গঠন করতে সহায়তা করেছিল।
গ্রুপটির সেক্রেটারি-জেনারেল এবং তার শীর্ষ সহকারী কর্মকর্তারা পৃথক ইসরাইলি হামলায় বেইরুতের রাজধানীতে নিহত হয়েছেন। হোলমগ্রেন বলেন, নেতৃত্বের ক্ষতি তাদের সংগঠিত হওয়ার ক্ষমতায় প্রভাব ফেলেছে এবং কৌশলগতভাবে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষমতাও কমিয়েছে। তবে দক্ষিণে তাদের স্থল বাহিনী কিছুটা অক্ষত রয়েছে। তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র হিজবুল্লাহর বিদেশে হামলার সম্ভাবনা তীক্ষ্ণভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
সূত্র: আলআরাবিয়া
কিউএনবি/আয়শা/১৩ নভেম্বর ২০২৪,/সন্ধ্যা ৭:০০