বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৪১ অপরাহ্ন

কে প্রেসিডেন্ট হলে বেশি সুবিধা হবে ভারতের?

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৪৯ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রিপাবলিকান শিবিরের ডোনাল্ড ট্রাম্প নাকি ডেমোক্র্যাট দলের কমলা হ্যারিস? যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে কে নির্বাচিত হচ্ছেন, সে দিকে তাকিয়ে রয়েছে ভারত। কে ক্ষমতায় আসলে কতটা সুবিধা— কূটনৈতিক এমন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অংক কষাও শুরু হয়েছে দেশটি। বিশেষ করে নজরে রয়েছে বাণিজ্য নীতি, অভিবাসন নীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলো।

বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে মার্কিন বাণিজ্য নীতিতে বহুপাক্ষিক দৃষ্টিভঙ্গি দেখা গেছে। জোর দেওয়া হয়েছে আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং বাণিজ্যিক চুক্তির ওপরে। বাইডেনের আমলে ভাইস প্রেসি়ডেন্টের দায়িত্ব সামলানো কমলা এবার প্রেসিডেন্ট হলে তার আমলেও বাণিজ্য নীতি একই রকম থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। 

অন্যদিকে ট্রাম্পের ক্ষেত্রে অনেকটা আগ্রাসী বাণিজ্যিক মনোভাব দেখা যেতে পারে। যার প্রভাব বিশ্ব বাণিজ্যে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। হ্যারিস ক্ষমতায় আসলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ভারতের স্বার্থ বেশি গুরুত্ব পেতে পারে বলে মত একাংশের। ট্রাম্পের ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রভাব তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। চীনের বদলে ভারত থেকে আমদানিতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে। কিন্তু ট্রাম্পের আগ্রাসী বাণিজ্যিক মনোভাবের কারণে তাতে প্রভাব পড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ভোটে ভারতীয়দের অন্যতম একটি চিন্তার বিষয় অভিবাসন নীতি নিয়ে সে দেশের পরবর্তী প্রশাসনের অবস্থান। বিশেষ করে এইচ-১বি ভিসা নিয়ে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কোন পথে হাঁটবেন তা ভাবাচ্ছে ভারতীয়দের। কোনো আমেরিকান সংস্থায় আমেরিকার বাইরের কোনো কর্মীর এই ভিসা প্রয়োজন হয়। ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের জন্য যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে ট্রাম্পের প্রশাসন অভিবাসন বিধিতে আরও কড়াকড়ি আনতে পারে। তাতে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের কর্মীরা ছাড় পেলেও সমস্যায় পড়তে পারেন অন্য পেশার সঙ্গে যুক্ত স্বল্পপ্রশিক্ষিত কর্মীরা।

এ বিষয়টি নিয়ে তুলনামূলক উদার ডেমোক্র্যাটিক প্রশাসন। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টদের আমলে গড়ে ৯০.৭ শতাংশ এইচ১-বি ভিসায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্টদের আমলে সেই গড় ৯৪.৬ শতাংশ। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, পুনর্নবীকরণ যোগ্য শক্তির ব্যবহারের দিকে আরও বেশি জোর দিতে চান হ্যারিস। ভারতেরও লক্ষ্য কয়লা, পেট্রোপণ্যের মতো জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আনা। এই বিষয়ে হ্যারিসের প্রশাসনের সঙ্গে ভারতের মনের মিল হতে পারে। অন্যদিকে ট্রাম্পের নজর চিরাচরিত শক্তির দিকেই। সেটিও ভারতের জন্য লাভদায়ক হয়ে উঠতে পারে। কারণ, পেট্রো পণ্যের জন্য ভারতের আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। 

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসলে বিশ্বে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়তে পারে। যাতে সুবিধা পাবে ভারতও। চিরাচরিত শক্তির দিকে নজর দিলেও টেসলা কর্তা ইলন মাস্কের সঙ্গে ট্রাম্পের সখ্য বেশ ভালো। এবারের ভোটে ট্রাম্পের হয়ে প্রচারও করেছেন তিনি। ট্রাম্প জিতলে কি ভারতীয় বাজারে টেসলা-স্টারলিঙ্ক আসার পথ আরও সুগম হবে? তা নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে।

প্রতিরক্ষায় আন্তর্জাতিক স্তরে বোঝাপড়ার ওপরেও ট্রাম্প ও হ্যারিস উভয়ের ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। হ্যারিস ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের প্রভাব কমাতে চায়। সে জন্য এই অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বে আরও জোর দিতে আগ্রহী কমলা। 

অন্যদিকে ট্রাম্প চান ‘কোয়াড’ সদস্য রাষ্ট্রগুলো বন্ধুত্বকে আরও মজবুত করতে। এ ক্ষেত্রে উভয়েরই লক্ষ্য ‘প্রতিপক্ষ’ চীনকে চাপে ফেলা। সে ক্ষেত্রে ট্রাম্প বা কমলা, যিনিই প্রেসিডেন্ট হোন না কেন— ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক আরও মজবুত হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/০৫ নভেম্বর ২০২৪,/দুপুর ১:৩০

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

September 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit