সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ১১:১৬ পূর্বাহ্ন

আপন মামাতো ভাইয়ের মেয়ে কি মাহরাম?

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৪৯ Time View

ডেস্ক নিউজ : আপন ভাইয়ের মেয়ে বা ভাতিজী মাহরাম। আপন ভাইয়ের মেয়ের সঙ্গে দেখা দেয়া জায়েজ এবং বিয়ে হারাম। কিন্তু আপন খালাতো, চাচাতো, ফুফাতো বা মামাতো ভাইয়ের মেয়ে মাহরাম নয়। এদের সঙ্গে পর্দা করা জরুরি এবং এদের সঙ্গে বিয়ে জায়েজ। বয়স ও অন্যান্য দিক মিললে আপন খালাতো চাচাতো, ফুফাতো বা মামাতো ভাইয়ের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হতে পারে।

মাহরাম আরবি শব্দ। এটি আরবি হারাম শব্দ থেকে এসেছে। ইসলামি পরিভাষায় যাদের বিয়ে করা হারাম বা অবৈধ এবং দেখা করা বা দেখা দেয়া জায়েজ বা বৈধ, তাদের মাহরাম বলা হয়। রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়তা, স্তন্যদানের সম্পর্ক এবং বৈবাহিক সম্পর্কের মাধ্যমে নারী পুরুষ পরস্পরের মাহরাম হয়। পরস্পরের সাথে দেখা দেয়া জায়েজ হয়।

নারী ও পুরুষের জন্য মাহরাম ব্যক্তি

পবিত্র কোরআনের চতুর্থ সুরার নাম নিসা। নিসা মানে নারীজাতি। এ সুরায় ১৭৬ আয়াত, ২৪ রুকু। তৃতীয় হিজরিতে ওহুদের যুদ্ধের পর এটি অবতীর্ণ হয়। এ সুরায় উত্তরাধিকার এবং এতিমের অধিকারসহ মুসলমানের জীবন পরিচালনা ও কীভাবে একতাবদ্ধ থাকতে হবে সে সম্পর্কে বলা হয়েছে।

কোরআনের সুরার নামকরণ হয়েছে ওই সুরার বিশেষ কোনো অংশ দ্বারা। হতে পারে সেটি সুরার ক্ষুদ্র একটি অংশ। কোরআনের ১১৪টি সুরার মধ্যে প্রত্যেকটির জন্য নাম নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এ সুরার প্রথম আয়াতে বর্ণিত النِّسَاءٌ শব্দ থেকে এর নামকরণ করা হয়েছে। এ সুরায় মহান আল্লাহ সমাজে নারী-পুরুষের সম্পর্কের সীমা, নারীদের উত্তরাধিকার বণ্টনের নিয়ম-কানুনসহ নারীসমাজের অনেক খুঁটিনাটি বিষয় বর্ণনা করেছেন যার কারণে এ সুরার নামকরণ করা হয়েছে ‘সুরাতুন নিসা’।

নারীদের মধ্যে তোমাদের পিতৃ পুরুষ যাদেরকে বিয়ে করেছে, তোমরা তাদেরকে বিয়ে করো না, তবে পূর্বে যা সংঘটিত হয়েছে (সেটা ক্ষমা করা হলো) নিশ্চয় তা ছিল অশ্লীল, মারাত্মক ঘৃণ্য ও নিকৃষ্ট পন্থা। (সুরা নিসা: ২২) তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে তোমাদের মা, মেয়ে, বোন, ফুফু, খালা, ভাইয়ের মেয়ে, বোনের মেয়ে, দুধমা, দুধবোন, শাশুড়ি ও তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যার সঙ্গে সংগত হয়েছ তার আগের স্বামীর ঔরসে তার গর্ভজাত মেয়ে, যারা তোমাদের অভিভাবকত্ব আছে, তবে যদি তাদের সঙ্গে সংগত না হয়ে থাক, তাতে তোমাদের কোনো অপরাধ নেই। আর তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ তোমাদের ঔরসজাত ছেলের স্ত্রী ও দুই বোনকে একত্র করা, আগে যা হয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সুরা নিসা: ২৩)

আর নারীদের মধ্যে তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসী ছাড়া সব সধবা তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ, তোমাদের জন্য এগুলো আল্লাহর বিধান। উল্লিখিত নারীরা ছাড়া অন্য নারীকে অর্থব্যয়ে বিয়ে করতে চাওয়া তোমাদের জন্য বৈধ করা হলো, অবৈধ যৌন সম্পর্কের জন্য নয়। তাদের মধ্যে যাদেরকে তোমরা সম্ভোগ করেছ তাদের নির্ধারিত দেনমোহর অর্পণ করবে। দেনমোহর নির্ধারণের পর কোনো বিষয়ে পরস্পর রাজি হলে তাতে তোমাদের কোনো দোষ নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (সুরা নিসা: ২৪)

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪,/বিকাল ৩:৩৪

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

July 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit