মো. সাইদুল আনাম, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি : নিম্নচাপের প্রভাবে হওয়া ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানিতে চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ৫ – ৬ দিন ধরে ফের পদ্মানদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে । এতে আতঙ্কিত কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মা পাড়ের মানুষ।এর আগে আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে নদীতে পানি বাড়লেও শেষের দিকে পানি কমতে শুরু করে । তবে ফের পানি বাড়ায় বন্যার আশঙ্কায় রয়েছেন নদী ঘেঁষা উপজেলার চার ইউনিয়নে বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে চরের বেশ কিছু আবাদি জমির কালাইসহ প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল।
তবে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াটার হাইড্রোলজি বিভাগ বলছে আর একদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার পানি বৃদ্ধি পাবে পরে তা স্থিতিশীল থেকে আবার কমতে শুরু করবে এতে বন্যা হওয়ার কোন সম্ভাবনা দেখছেন না তারা। তাদের দেওয়া তথ্য বলছে পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে সোমবার সকাল ৬ টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত ৩ ঘন্টায় ২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সকাল ৯ টা পর্যন্ত এখানে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল ১২ দশমিক ১১ সেন্টিমিটারে যা বিপদ সিমার ১ দশমিক ৬৯ সেন্টিমিটার নিচে। এই পয়েন্ট বিপৎসীমা ধরা হয়েছে ১৩ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার।
এদিকে ফের পদ্মা নদীর পানি বাড়ায় এর তীরবর্তী মানুষ অসময়ে বন্যার আশঙ্কা করছেন । উপজেলার চিলমারী, রামকৃষ্ণপুর, মরিচা ও ফিলিপনগর এই চার ইউনিয়নের পদ্মা পাড়ের মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বন্যায়, ইতিমধ্যে পানিতে তলিয়েছে চরের আবাদি ফসলের মাঠ।উপজেলার চিলমারীর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, নদীতে আবার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে তবে তা লোকালয়ে এখনো প্রবেশ করেনি। কিছু নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকেছে। প্রায় ১০০ একরের মতো কালাই ডুবে গেছে অনেকে পেঁয়াজ চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করছিল।
রামকৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ মন্ডল বলেন, নদীতে পানি কমে গিয়ে ফের আবার বাড়তে শুরু করেছে তবে ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়নি।চরে প্লাবিত হওয়া কৃষি জমির ক্ষয়ক্ষতির পরিমানের বিষয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, পদ্মায় পানি বৃদ্ধির ফলে ৪ ইউনিয়নের অন্তত ৩২ হেক্টর জমিতর কালাই ডুবে গেছে এবাব চরে ২ হাজার ৩২৩ হেক্টর জমিতে কালাই চাষ হয়েছে।এবিষয়ে পাবনা ওয়াটার হাইড্রোলজি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে সোমবার সকালে ৯ টা পর্যন্ত পানির প্রবাহ ছিলো ১২ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার যা বিপদ সিমার ১ দশমিক ৬৯ সেন্টিমিটার নিচে। তবে এই পয়েন্টে বিপৎসীমার ধরা হয়েছে ১৩ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। তিনি আরো বলেন, মঙ্গলবার পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি পাবে পরে তা স্থিতিশীল থেকে আবার কমতে শুরু করবে এতে বন্যা হওয়ার কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছেনা।
কিউএনবি/অনিমা/২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪,/দুপুর ২:০১