স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর) : আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর যশোরের মনিরামপুরে রাজগঞ্জ বাজারে বিক্ষুব্ধ জনতা সরকারি জমির উপর নির্মিত বঙ্গমাতা সমবায় মার্কেট ও আওয়ামী লীগের দলিয় কার্যালয় ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে। তবে অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় একটি পক্ষ ওই জমি নতুন করে দখলের পর সেখানে দোকান নির্মানের ষড়যন্ত্র করছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে।
জানাযায়, মনিরামপুর উপজেলার হানুয়ার গ্রামের মৃত নূরুল হক বিশ্বাস ১৯৬০ সালে রাজগঞ্জ বাজারে ১৯৪ নং মোবরকপুর মৌজার ১ নং খতিয়ানের ১২ শতক জমি সরকারের কাছ থেকে ৩০ বছর মেয়াদি বন্দোবস্ত নিয়ে বাড়ি নির্মান করে নয় ছেলেসহ পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস শুরু করেন। পরবর্তিতে ১৯৯১ সাল থেকে ২০২০ এবং ২০২০ থেকে ২০৪৯ সাল পর্যন্ত বন্দোবস্ত নবায়ন করেন। ইতিমধ্যে নূরুল হকের মৃত্যুর পর সরকার ওই ১২ শতক জমি তার নয় ছেলে ও স্ত্রীর নামে রেকর্ড (নাম পত্তন) করে দেন।
নুরুল হকের ছেলে আনোয়ারুল হক, আজহারুল হক, আশরাফুল হক, আসাদুল হকের অভিযোগ রাজগঞ্জ বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ আবদুল লতিফ ও ঝাপা ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক সোহেল রানার নেতৃত্বে গত ২০২২ সালের ১৩ মার্চ রাতে ওই জমি দখলের পর সেখানে বঙ্গমাতা মার্কেট ও আওয়ামী লীগের অফিস নির্মান করেন। অভিযোগ রয়েছে অধ্যক্ষ আবদুল লতিফ বঙ্গমাতার মার্কেটের ৩০ টি দোকান থেকে মাসিক ৬০ হাজার টাকা আদায় করতেন।
এ দিকে হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ১৮ আগষ্ট স্থাণীয়রা বঙ্গমাতা মার্কেট ও আওয়ামী লীগের অফিস ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। কিন্তু নূরুল হকের ছেলে আনোয়ারুল হকের অভিযোগ তাদের সম্পত্তির সামনে জেলা পরিষদের ফাকা জমিটি এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল গতকাল শনিবার সকালে দখল করেন। অভিযোগ রয়েছে দখলের পর সেখানে বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী ঘর নির্মানের ষড়যন্ত্র করছে।
এ ব্যাপারে ঝাপা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মফিজুর রহমান বলেন, অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে দখলকৃত সরনাকরি সম্পত্তি উদ্ধার করেছে। তবে ঘর নির্মানের অভিযোগ সত্য নয়। এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ আবদুল লতিফ জানান, সাবেক পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের নির্দেশে তার ভাগ্নে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান যুবলীগ আহ্বায়ক উত্তম চক্রবর্তি বাচ্চুর নেতৃত্বে বঙ্গমাতা মার্কেট ও দলিয় কার্যালয় নির্মান করা হয়।
তবে কোন দোকান থেকে ভাড়া আদায় করা হয়নি। এ ব্যাপারে নুরুল হকের ছেলে আনোয়ারুল হক বাদি হয়ে শনিবার থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়ে ব্যবস্থা নিতে ইতিমধ্যে এসিল্যান্ডকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
কিউএনবি/আয়শা/৩১ অগাস্ট ২০২৪,/সন্ধ্যা ৭:৪৪