এর আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, একটা সুবিধাভোগী শ্রেণী হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করেছে বিগত স্বৈরাচারী ব্যবস্থা। সেই কারণে মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগকে পুনর্গঠনের জন্য সত্যিকার মুক্তিযোদ্ধাদের মতামত নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা এই ব্যাপারে পরিকল্পনা গ্রহণ করবো, মন্ত্রণালয়ের সকলের সাথে বসে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবো কি কি করতে হবে। অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আছে আপনারা সব জানাতে পারবেন। যা কিছু আমরা পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন করবো সবার সামনেই হবে। তবে সংস্কার হবে এবং ট্রাস্টিক সংস্কার হবে।
তিনি এসময় আরো বলেন, কোটা আন্দোলন করতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানের কোটা যে বিষয়গুলো সংগ্রামে ফুটে উঠেছিল এটা আন্তর্জাতিকভাবেই বিস্তৃত হয়েছে। সবাই এটাকে নিয়ে সংবাদ করেছে, এখনো বিশ্লেষন হচ্ছে এসব বিষয়গুলো নিয়ে। সত্যিকার অর্থে যারা মুক্তিযোদ্ধা, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা, আমি মুক্তিযোদ্ধাই বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু সেখানে আমাকে প্রকৃত লাগাতে হলো এটা দুঃখের ব্যাপার। অনেকে দুঃখ ভরাক্রান্ত হৃদয়ে তারা তাদের সন্তানকে রাস্তায় তাজা রক্ত ঝরাতে দেখেছে। এটা থেকে নিষ্কৃতি পাওয়াটা তাদের জরুরি এবং এ বিষয়ে আমরা দ্রত পদক্ষেপ নেবো।
মন্ত্রণালয়ে বসে আলোচনা করে পর্যায়ক্রমে সিদ্ধান্তগুলো নেবো। বস্তুনিষ্ঠ ও কার্যকর সিদ্ধান্তগুলোই আপনারা দেখতে পাবেন। এখানে সংস্কার হবে এবং ভাল সংস্কার হবে। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধ বিষয়ম মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী ও সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহুল চন্দ প্রমূখ।