ডেস্ক নিউজ : বাংলাদেশে কোটা সংস্কারআন্দোলন থেকে এক দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দেশজুড়ে আন্দোলন-বিক্ষোভ কেন্দ্র করে শেষ পর্যন্ত দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পরই ভারতে পালিয়ে যান তিনি।
শেখ হাসিনা এভাবে হুট করেই পালিয়ে যাওয়ার আগের রাতে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তার জেনারেলদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কারফিউ বলবৎ রাখতে সেনাবাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলি চালাবেন না। সেনাপ্রধান পরদিন সকালে শেখ হাসিনার সরকারি আবাস গণভবনে যান। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি জানান, দেশজুড়ে যে কারফিউ ডাকা হয়েছে তা বাস্তবায়নে সেনাবাহিনী অপারগ। বিষয়টি সম্পর্কে ব্রিফ করা হয়েছে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানেন এমন একজন ভারতীয় কর্মকর্তা এ তথ্য জানান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে। ওই ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, শেখ হাসিনার প্রতি সেনাবাহিনীর আর সমর্থন ছিল না- বিষয়টি তখন একেবারেই পরিষ্কার হয়ে যায়। তবে ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যকার অনলাইন বৈঠকের বিশদ বিবরণ এবং শেখ হাসিনার কাছে দেওয়া বার্তার বিষয়ে আগে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
কিউএনবি/আয়শা/০৭ অগাস্ট ২০২৪,/বিকাল ৩:৫০