বাদল আহাম্মদ খান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি ।
Update Time :
রবিবার, ৪ আগস্ট, ২০২৪
১০০
Time View
বাদল আহাম্মদ খান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রবিবার তীব্র অসহযোগ আন্দোলন হয়েছে। জেলা সদরসহ আশুগঞ্জ, সরাইল, নবীনগর, কসবা ও আখাউড়ায় সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়। তবে আইনশৃংখলা বাহিনী কোথাও শক্ত অবস্থানে যায়নি। সন্ধ্যা ছয়টায় এ রিপোর্ট লেখার সময়ও পৌর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। একাধিক সূত্র জানায়, বিরাসারে আন্দোলন কর্মসূচি পালনকালে গুলিবিদ্ধ হয়েছে তিন আন্দোলনকারি। একই এলাকায় ছাত্রলীগের হামলায় জয় নামে এক চিত্র সাংবাদিক আহত হয়েছে। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্রের ছবি তুলতে গিয়ে তিনি হামলার শিকার হন। এছাড়া গভ. মডেল গার্লস স্কুলের সামনে ছাত্রলীগের হামলায় কয়েকজন নারী শিক্ষার্থীও আহত হয়।
এদিকে বিক্ষুব্ধরা সকাল থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড ও আশুগঞ্জ এলাকা অবরুদ্ধ করে যান চালচাল বন্ধ করে দেয়। শিক্ষার্থীরা সড়কের উপর নামাজ আদায় ও খাওয়া-দাওয়া করেন। আন্দোলনরতদের হামলায় আল-মামুন নামে সাংবাদিক আহত হয়। আখাউড়ার বাইপাস এলাকায় বাধা দিতে গিয়ে আন্দোলনকারিদের তোপের মুখে পালিয়ে যায় ছাত্রলীগ সভাপতি শাহবুদ্দিন বেগসহ তার সহযোগিরা। এর কয়েকঘন্টা পর্যন্ত বাইপাস এলাকা দখলে রাখে আন্দোলনকারিরা। এতে আখাউড়া-আগরতলা সড়কে যান চলাচল বন্ধ করতে দেখা যায়। ভাঙচুরের শিকার হয় খাদ্যগুদামের জানালার গ্লাস। জেলার নবীনগর উপজেলায় বেলা ১২টার দিকে আন্দোলনকারিরা থানার ভিতরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। প্রায় ঘন্টা দেড়েক তারা থানার সামনে অবস্থান নিয়ে চলে যায়।
অপরদিকে দুপুর থেকে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা জেলা সদরে এ আন্দোলনের সঙ্গে যোগ দেয়। বিশেষ করে কালীমোড় এলাকায় বিএনপি নেতাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তারা ‘অ্যাকশান অ্যাকশান বিএনপি’র অ্যাকশান’ বলে শ্লোগান দেয়। দুপুর থেকে পৌর এলাকার টিএ রোডসহ আশেপাশে ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ গুলির শব্দ শুনা যায়। পৌর এলাকার বিভিন্নস্থানে প্রচুর বিলবোর্ড ও প্রচারণার গেইট ভেঙ্গে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের প্রধান ফটকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।