বাদল আহাম্মদ খান ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : ১৫ মে থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৩৮টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৬৫ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় করা হয়। ২০ জুন চারটি হোটেলের বিরুদ্ধে মোট ১২৯টি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় ৭৪ লাখ টাকা জরিমানার কথা উল্লেখ করা হয়। সর্বশেষ আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকার ইন্দো-বাংলা নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় এক কোটি টাকার পণ্য জব্দ করা হয়।এ অবস্থায় এসব উদ্যোগের পিছনে থাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাস্টমস, এক্সসাইজ, ভ্যাট এর উপকর কমিশনার আবু হানিফ মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ ও ব্যবসায়িরা মুখোমুখি অবস্থানে। ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ি মামলা দায়ের করেছেন। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন ব্যবসায়িরা।
বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে হওয়া এ মানববন্ধনে জেলা রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি শাহ আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা রেস্তোরা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফকরুল হাসান, নিউ মার্কেট কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত, রেস্তোরা মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. মাসুদ রানা, আব্দুল মালেক, সাংগঠনিক সম্পাদক উজ্জল চৌধুরী প্রমুখ। বক্তারা অভিযোগ করেন, জেলার রেস্তোরা ও মিষ্টান্ন ভান্ডার প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মিত ভ্যাট প্রদান করে থাকে। কিন্তু ভ্যাট কর্মকর্তা আবু হানিফ মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বিভিন্ন সময় এমনকি মধ্য রাতেও ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন। তাকে টাকা না দিলে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করা হয়। ব্যবসায়ীরা দ্রুত এই কর্মকর্তার অপসারণের দাবি জানান। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এদিকে ২৫ জুন এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগ এনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর আমলী) আদালত মামলা দায়ের করেন মো. রাশেদুল হক নামে এক ব্যবসায়ী। আদালত মামলাটি তদন্তে পিবিআইকে আদেশ দেন। একই দিন বিকেলে আখাউড়া স্থলবন্দরের ইন্দো-বাংলা সুপার শপ থেকে এক কোটি টাকার পণ্য জব্দ করা হয়। তবে ব্যবসায়ীদের করা বিভিন্ন অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তা আবু হানিফ মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। তিনি জানান, নিয়ম অনুসারে তিনি ভ্যাট আদায় করছেন। এসব কারণেই ব্যবসায়ি ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলে তিনি ধারণা করছেন। প্রায় এক কোটি টাকার পণ্য জব্দ সম্পর্কে কাস্টম’র ওই কর্মকর্তা জানান, যে গুদামে পণ্য রাখা হয়েছিল সেটি মূসক আইনে নিবন্ধিত নয়। এছাড়া আরো কিছু নিয়মের ব্যতয় ঘটানো হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
কিউএনবি/অনিমা/২৭ জুন ২০২৪,/দুপুর ১:২৬