ডেস্ক নিউজ : অনেক সময় কোরবানির পশু কেনার পর মারা যায় বা চুরি হয়ে যায়। যা খুবই দুঃখজনক। এ পরিস্থিতিতে কোরবানিদাতার করণীয় কী? এ সম্পর্কে ইসলাম কী বলে? কোরবানির পশু যদি মারা যায় বা চুরি হয়ে যায় আর কোরবানিদাতার ওপর পূর্ব থেকে কোরবানি ওয়াজিব থাকে তাহলে আরেকটি পশু কোরবানি করতে হবে। তবে যার ওপর কোরবানি ওয়াজিব নয় তার জন্য নতুন আরেকটি পশু কোরবানি করাও ওয়াজিব নয়। (বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৬, খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩১৯)
প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কের প্রত্যেক মুসলিম নারী-পুরুষ, যে ১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব।
কোরবানির নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য পণ্য হলো: টাকা-পয়সা, সোনা-রুপা, অলংকার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না- এমন জমি, প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাড়ি-গাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সব আসবাব।
কোরবানির নেসাবের পরিমাণ হলো: স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৮৭ দশমিক ৪৫ গ্রাম) ভরি, রুপার ক্ষেত্রে সাড়ে ৫২ (৬১২ দশমিক ১৫ গ্রাম) ভরি। টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে নিসাব হলো: এর মূল্য সাড়ে ৫২ ভরি রুপার মূল্যের সমপরিমাণ হতে হবে।
কিউএনবি/আয়শা/০৮ জুন ২০২৪,/বিকাল ৩:২৮