ডেস্ক নিউজ : মাদারীপুরের ডাসারে বখাটের উৎপাতে প্রায় তিন মাস যাবত স্কুলে যেতে পারছে না এক কিশোরী। ফলে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই ছাত্রীর পড়ালেখা বন্ধের উপক্রম হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন ও থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না ভুক্তভোগীর পরিবার। তবে ভুক্তভোগী পরিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানা পুলিশের সহযোগিতা চাইলে ও প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা যথাযথ ভূমিকা না রাখার কারণে বখাটে ওই যুবক আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীসহ এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উত্তর ডাসার গ্রামে সৈয়দ নুরুল আলম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে চলার পথে প্রতিনিয়ত উত্ত্যক্ত করে আসছে একই এলাকার আব্দুল শিকদারের ছেলে আশিক শিকদার (২২)।
ভিকটিমের এক স্বজন যুগান্তরকে জানান, স্কুলে যাতায়াতের পথে প্রতিনিয়তই ওই স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে আশিক শিকদার। ছাত্রীর পরিবার এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে উলটো হুমকি দেয় আশিক শিকদার। বিষয়টি অভিযুক্তের মা-বাবাকে জানালে তারাও ভিকটিমের পরিবারকে অপমান অপদস্ত করে।
ভুক্তোভোগী স্কুলছাত্রী যুগান্তরকে জানায়, আশিক শিকদার আমাকে দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সে কুপ্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হলে সে পেছন থেকে আমার গায়ের ওড়না টানাহেঁচড়া করে এবং আমার স্কুলব্যাগ ছিঁড়ে ফেলে। আমি স্কুলে গেলেই আশিক আমাকে এভাবে উত্ত্যক্ত করে। ভয়ে আমি এখন আর স্কুলে যাই না।
ছাত্রীর মা বলেন, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে লোকজনকে জানিয়ে কোনো সমাধান না পেয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থানায় অভিযোগ দিতে যাই; কিন্তু পুলিশ অভিযোগ না নিয়ে ইউএনও অফিসে যেতে বলে। পরদিন ইউএনও অফিসে লিখিত অভিযোগ দিই; কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিকার পাইনি। গত ২৫ মে নতুন করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো কাজ হচ্ছে না।
‘আসলে কি কমু এ দ্যাশে আইন কানুন নাই, কোথায় যামু আর কোথায় গেলে বিচার পামু আপনারাই কন’, ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন তিনি। এ বিষয়ে ডাসার থানার ওসি এসএম শফিকুল ইসলামকে অভিযোগ না নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, থানায় অভিযোগ নেওয়া হয় না- এরকম বলা হয় নাই। ওনাকে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে এবং ইউএনও সাহেবকে অবহিত করতে বলা হয়েছে। কেন উনি অভিযোগ দেয়নি থানায়? পাঠিয়ে দেন অভিযোগ নেওয়া হবে।
এ বিষয় জানতে ইউএনও কানিজ আফরোজকে কয়েকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
কিউএনবি/আয়শা/০৪ জুন ২০২৪,/বিকাল ৫:৪০