শূন্যরেখায় দেশে ফেরত আসা দীপক দাস গুপ্তা বলেন, আমরা ১০ জন খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি সীমান্ত দিয়ে ভারতে ডংরু মেলায় ঘুরতে যাই। মেলা দেখে ওখান থেকে আগরতলায় একটি মন্দির দেখে ফেরার পথে আমাদের বহনকারী ভারতীয় গাড়িটির চালক আমাদেরকে নির্দিষ্ট গন্তব্যের পরিবর্তে স্থানীয় একটি থানায় নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ আমাদের আটক করে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত আমাদেরকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে এক মাসের সাজা দেয়। কারাভোগ শেষে আমরা একটি হোমে ছিলাম। সেখান থেকে ৪ মাস পর বাংলাদেশ হাই কমিশনের মাধ্যমে আমরা আজ দেশে ফিরলাম। দেশে ফেরত আসা নাহিদা শেখ বলেন, আমি, আমার স্বামী ও এক সন্তানসহ গত তিন বছর আগে স্বামীর চিকিৎসার জন্য অবৈধ পথে ভারতের মুম্বাই শহরে যায়। চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পথে ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়ে ১ বছর কারাভোগ শেষে যখন হোমে ছিলাম তখন আমার আরেকটি সন্তান জন্ম হয়। গত ৬ মাস আগে ওখানে আমার স্বামী মৃত্যু হলে সেখানেই দাফন-কাফন হয়। দীর্ঘ ৩ বছর পর আমি আমার ২ সন্তানসহ আজ দেশে ফিরেছি।
আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের কর্মকর্তা ওমর শরীফ বলেন, ১৩ জন বাংলাদেশীকে তাদের নিজ দেশে প্রত্যার্বতন করেছি। তাদের মধ্যে ১ নারী ও ২ জন শিশুসহ ১৩ জন । তাদের মধ্যে ১০ জন এসেছিলেন মেলা দেখতে ও আরেক পরিবার এসেছিলেন চিকিৎসার জন্য। তারা দেশে ফেরার পথে ভারতীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়ে আদালতের মাধ্যমে সাজাভোগ করেন। বিষয়টি বাংলাদেশ হাই কমিশন জানতে পেরে তাদের সাথে যোগাযোগ করি। পরে কাগজপত্র যাচাই-বাচাই শেষে তাদের কে আজকে দেশে ফেরত পাঠানো হলো।এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) এস এম রাহাতুল ইসলাম, বিএসএফ এর ১২০ কম্পানী কমান্ডার বিবেক ধীমান, আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট ইনচার্জ মো. খাইরুল আলম, ৬০ বিজিবি আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার শাহ আলম প্রমুখ।
কিউএনবি/অনিমা/২৪ এপ্রিল ২০২৪,/সকাল ৯:২৩