আন্তর্জাতিক ডেস্ক :মূলত ওই হামলায় যে ধরনের ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে তা নিয়েই উপহাস করেছেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে আমির আবদুল্লাহিয়ানের এমন মন্তব্যের পর এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি তেল আবিব।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় ভোরে ৪টার দিকে ইরানের ইসফাহান শহরের কাছে হামলা চালায় ইসরাইল। এ ঘটনার কয়েক ঘন্টা পর দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ‘ইসরাইলের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রতিশোধ নেয়ার কোনো পরিকল্পনা তেহরানের নেই। তবে তাদের পরমাণবিক স্থাপনা ক্ষতির মুখে পড়লে তার চরম মূল্য দিতে হবে তেল আবিবকে।
আবদুল্লাহিয়ান আরও জানান, গত সপ্তাহে ইসরালকে লক্ষ্য করে চালানো হামলা ছিল কেবল একটা সতর্কতা মাত্র। ইরান চাইলে তাদের আল হাইফা, তেল আবিবের মত বড় শহরগুলোর পাশাপাশি বাণিজ্যিক বন্দরগুলো টার্গেট করতে পারত। কিন্তু বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেছে তারা।
ফিলিস্তিনের গাজায় আগ্রাসনের মধ্যে গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। ওই ঘটনায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) দুই শীর্ষ কমান্ডারসহ অন্তত ৮ জন নিহত হন।
এরপর থেকেই প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল তেহরান। তেল আবিবকে উপযুক্ত জবাব দেয়ার অঙ্গীকার করেন সর্বোচ্চ ধর্মীয় আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি নেতা থেকে শুরু করে শীর্ষ রাজনৈতিক ও সামরিক নেতারা। ১৩ এপ্রিল সেই হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় ইসরাইলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়।
আইরন ডোমের মতো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের বেশিরভাগই প্রতিরোধ করে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। তবে এর মধ্যে বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। এতে তেল আবিব ও তেহরান উত্তেজনা আরও বাড়ে।
ইরানের হামলার কয়েকদিন পর শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ইরানে ড্রোন হামলা চালায় ইসরাইল। তবে সবগুলো ড্রোনই ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তেহরান। সেই সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ফের হামলা হলে কঠোর জবাব দেয়া হবে।
কিউএনবি/আয়শা/২০ এপ্রিল ২০২৪,/রাত ৮:২৩