আলমগীর মানিক, রাঙামাটি : চৈত্র সংক্রান্তিতে পাহাড়ের অধিবাসীরা মেতেছে বৈসাবী উৎসবে। পার্বত্য জনপদের পাড়া পাড়ায় পড়েছে সাজ সাজ রব। বৈসাবীকে ঘিরে এপ্রিলের শুরু থেকেই পাহাড়ে চলছে বর্নিল আয়োজন। পাহাড়ের বৈসাবী ও বাংলা বষবরণের আয়োজন নিয়ে রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি আলমগীর মানিকের পাঠানো তথ্য ও ভিডিও ফুটেজ নিয়ে রির্পোট।
প্যাকেজ——পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ-তাত্তিক জনগোষ্ঠীর প্রধান ধর্মীয় উৎসব বৈসাবীকে কেন্দ্র করে তিনদিন উৎসব করার কথা থাকলেও এ্ উৎসব চলে পক্ষকাল ব্যাপী। পাহাড়িদের সংস্কৃতি মেলা, ঐতিহ্যবাহী খেলাধূলা, নদীতে ফুল ভাসানো, বুদ্ধমূর্তি গোসল, বয়স্ক মুরব্বীদের স্নান আর পানি খেলার মধ্যে দিয়ে চলবে এ উৎসব।
ভক্সপপ—-
চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিনকে বলা হয় ফুল বিজু। উৎসবের প্রথম দিনে চাকমা, ত্রিপুরা ও মারমারা বন থেকে ফুল আর নিমপাতা সংগ্রহ করে সেই ফুল দিয়ে ঘর সাজায়।সিংক- রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার ।আর চৈত্র সংক্রান্তির দিনকে বলা হয় মুল বিজু। ঘরে ঘরে রান্না হয় ঐতিহ্যবাহী খাবার পাচন। তা দিয়ে দিন ভর চলে অতিথি আপ্যায়ন।সিংক- রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী একদিকে বাংলা বর্ষবরণ অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রধান ধর্মীয় উৎসব বৈসাবী এ দুটো মিলে পাহাড়ে বাঙ্গালী ও পাহাড়ীদের মিলন মেলায় পরিনত হয়। উৎসবের আমেজ নিয়ে সারা বছর পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধরে রাখার আহবান সুধীজনদের।
বাংলা বর্ষবরণ ও বৈসাবীর পক্ষকালব্যাপী পাহাড়ের এ দীর্ঘ আনন্দ আয়োজন সফল করতে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।উৎসবের শেষ দিনে ১৬ এপ্রিল মারমা সম্প্রদায় উদযাপন করে ঐতিহ্যবাহী পানি খেলা উৎসব। সপ্তাহ জুরে চলে মামো পল্লী গুলোতে । এর মধ্যে দিয়ে শেষ হবে পাহাড়ের এই বৈসাবী উৎসব।
কিউএনবি/অনিমা/১২ এপ্রিল ২০২৪,/দুুপুর ১২:১৬