খোরশেদ আলম বাবুল,শরীয়তপুর প্রতিনিধি : ডামুড্যা উপজেলার সিড্যা ইউনিয়নে তিন ফসলি জমিতে প্রভাব খাটিয়ে পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে। সাবেক চেয়ারম্যানের ছেলে ও জামাতা (বর্তমান চেয়ারম্যান) মিলে এই পুকুর খনন করছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এই পুকুর খনন সম্পন্ন হলে প্রায় ১০ একর ফসলি জমির ক্ষতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।স্থানীয়রা জানায়, সিড্যা ইউনিয়নের আমিন বাজার সংলগ্ন তিন ফসলি একটি মাঠ রয়েছে। মাঠের কতিপয় জমি মালিকদের সাথে চুক্তি করে ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আমিনের ছেলে রাব্বি আমিন ও বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল হাদি জিল্লু পুকুর খনন কাজ শুরু করেছেন। পুকুর খননের ফলে ফসলি জমি হারানোর ভয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেকে। সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান চেয়ারম্যানের একচ্ছত্র ক্ষমতার কাছে সাধারণ মানুষ অসহায় বলে কোন প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও এলাকাবাসী জানায়, বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল হাদি জিল্লু সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আমিনের জামাতা। আলাউদ্দিন আমিনের ছেলে রাব্বি আমিন ও জামাতা সৈয়দ আব্দুল হাদি জিল্লু মিলে তিন ফসলি জমিতে পুকুর খনন করছেন। অনেকের জমি জোর করেও নিয়েছেন। তাদের ক্ষমতার কাছে সাধারণ মানুষ অসহায়। এই জমিতে বছরে তিনটি ফসল ফলানো সম্ভব। বর্তমানে যে ধানের চাষ হয়েছে তাতেও শতাংশ প্রতি ৪৫ কেজি ধান হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
পুকুর খননের মূলহোতা রাব্বি আমিন বলেন, আমার বোনেরা ইউরোপ-আমেরিকায় থাকে। আমার বাবা সাবেক চেয়ারম্যান। বর্তমান চেয়ারম্যান আমার ভগ্নিপতি। আমাদের জমি ও টাকার কমতি নাই। আমার একটা শখ ছিল পুকুর খননের। তাই এই পুকুরটি খনন করতেছি।বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুল হাদি জিল্লু বলেন, পুকুর খননের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নাই।
কিউএনবি/অনিমা/১৪ মার্চ ২০২৪/বিকাল ৩:৩৪