ডেস্ক নিউজ : বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে পোশাক শিল্পের শীর্ষ ব্যবসায়িক সংগঠনটি। এতে বলা হয়েছে, প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ পোশাক শিল্পের খুচরা বিক্রয় (রিটেইলিং) এবং বিতরণ (ডিস্ট্রিবিউশন) বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। এজন্য ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জকে সুযোগে পরিণত করতে চায় সংগঠনটি। এজন্য একটি গবেষণা এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং সরকারও এ ব্যাপারে ইতিবাচক বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। গবেষণা প্রতিবেদনটি আনুষ্ঠানিকভাবে গত ২৫ জানুয়ারি উন্মোচন করা হয়।
গবেষণায় বাংলাদেশের পোশাক খাতকে ডিজিটালাইজ করার জন্য বাজার সম্ভাবনা এবং এ ব্যাপারে প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য ধারনা দেয়া হয়। কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে এই প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলেও, আন্তঃসীমান্ত লেনদেন এবং বৈদেশিক মুদ্রানীতির সীমাবদ্ধতার জন্য বৈশ্বিক ই-কমার্স বাজারের সুযোগসুবিধাগুলোকে কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ পোশাক শিল্প। এছাড়া ২০১৮-এর জাতীয় ডিজিটাল বাণিজ্য নীতিতে কোথাও বাংলাদেশ পোশাক শিল্পের জন্য ই-কমার্সে প্রবেশের ব্যাপারে কোনো সুস্পষ্ট নীতিকাঠামো দেয়া হয়নি।
তাই বিজিএমইএ’র গবেষণায় এই শিল্পকে ডিজিটালাইজ করার মাধ্যমে বিশ্ববাজারে আরও প্রভাব বিস্তার এবং লাভবান হওয়ার লক্ষ্যে দুইটি বিশেষ দিকের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। (১) এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের মতো ক্রমবর্ধমান বাজারে বর্তমান ব্যবসা-থেকে-ব্যবসা (বিটুবি) কার্যক্রমের সম্প্রসারণ এবং (২) বাংলাদেশি প্রস্তুতকারক এবং ক্রেতাদের মধ্যে সরাসরি সংযোগ (বিটুসি) প্রতিষ্ঠা করা। এক্ষেত্রে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় বাজারের ক্রেতাদের সাথে সরাসরি সংযোগ তৈরির জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে ভার্চুয়াল মার্কেটপ্লেস।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পোশাকশিল্পের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং ভার্চুয়াল মার্কেটপ্লেস প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা দেবে সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ভবিষ্যতের বৈশ্বিক বাজারে প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে পোশাক শিল্পের এই ডিজিটালাইজেশন গাইড ফ্রেমওয়ার্ক হিসেবেও কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিজিএমইএ সভাপতি।
কিউএনবি/আয়শা/১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪,/বিকাল ৫:৫০