বাদল আহাম্মদ খান ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : ছোটবেলায় বিদ্যালয়ের সহপাঠিকে নিজের ছাতা দিয়ে দেওয়াটা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের এক প্রকার যেন নেশায় পরিণত হয়েছিলো। ছোট্ট শিশু রুদ্রজিৎ পাল ঠিক যেন বঙ্গবন্ধুর সাজ সেজে সেই চিত্রটাই তুলে ধরলেন।গত কয়েক বছর ধরে ১ জানুয়ারি একযোগে বই উৎসব পালিত হয়।
এটা সরকারের একটা বড় সাফল্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ উৎসবের অংশিদার হন। ছোট শিশু ঐশি মল্লিক নিজেকে শেখ হাসিনার সাজে সাজিয়ে বই তুলে দিচ্ছেন এক শিক্ষার্থীর হাতে।এখানেই শেষ নয়। মন্ডপের সামনে মাটির প্রতিমার সঙ্গে শোভা পাচ্ছে ‘জ্যান্ত প্রতিমাও’। শিশুকে সাজানো হয়েছে দেবি সরস্বতী। সামনেই লোকনাথ ব্রহ্মচারি, রাধাকৃষ্ণ। ফুটিয়ে তোলা হবে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও অপরাজেয় বাংলার চিত্র। এ আয়োজন সরস্বতী পূজাকে ঘিরে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার অরুণ সংঘ এ আয়োজন করেছে। বুধবার রাধানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের এ আয়োজনে মোট ৩১ জন শিশু অংশ নেয়। গত দুই সপ্তাহ ধরে তারা এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেয়। বুধবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে শিশুদের এ প্রদর্শনী।
আয়োজকরা জানান, তাদের এবারের থিম ছিলো ‘লাল সবুজের বাংলাদেশ, শিশুরাই গড়বে আগামীর দেশ’। থিমের সঙ্গে মিল রেখে ইতিমধ্যেই তাদের লাল সবুজের আকৃতিতে তাদের প্যান্ডেল নির্মাণ করা শেষ করা হয়েছে। স্থায়ী শহীদ মিনারের পাশাপাশি অস্থায়ীভাবে সেখানে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। শৈল্পিক কাজ ছিলো মন্ডপে ঢোকার জন্য তৈরি করা ফটকে।
সংগঠনের পক্ষে নান্টু বনিক, সুরজিৎ পাল জানান, এবারের আয়োজন শিশুদেরকে ঘিরে। প্রতিবারের মতো এবারও তারা ব্যতিক্রম চিন্তা নিয়ে হাজির হয়েছেন। কয়েকদিন ধরে প্রশিক্ষণ চলতে থাকায় বেশ সাড়াও পড়ে এ আয়োজনের। পুজা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লোকসংগীত শিল্পী কুদ্দুস বয়াতি সংগীত পরিবেশন করবেন। এছাড়া কয়েকজনকে সংবর্ধণাও দেওয়া হবে।