খোরশেদ আলম বাবুল,শরীয়তপুর প্রতিনিধি : পদ্মা নদীতে নৌ-পুলিশের চাঁদাবাজীর অভিযোগ দীর্ঘ দিনের পুরনো কথা। এই নদী দিয়ে চলাচলকারী নৌ-যানকে ডজন খানেক খাতে চাঁদা দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এবার চাঁদাবাজীর অভিযোগে এক পুলিশ উপ-পরিদর্শককে (এসআই) বদলী করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর নৌ-পুলিশ কর্তৃপক্ষ। বদলী হওয়া এসআই’র নাম মমিন।
নৌ-পথে যান চালনারীরা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন, পদ্মা নদীর জাজিরার মাঝির ঘাট থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত বিভিন্ন খাতে তাদের চাঁদা দিতে হত। দীর্ঘদিন পর্যন্ত চাঁদা আদায় বন্ধ ছিল। কিছুদিন হল মাঝির ঘাট নৌ-পুলিশের সহায়তায় পুনরায় চাঁদা আদায় শুরু হয়। বিভিন্ন ভাবে নৌ পুলিশের হাতে তাদের হয়রানী হতে হয়। পাবনা থেকে বালুভর্তি জাহাজ ছেড়ে আসার পরে প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ফরিদপুরের দৌলদিয়ায় জাহাজ নোংগর করে রাখা হয়। সেখানে মাঝির ঘাট নৌ-পুলিশের কথা বলে জাহাজ প্রতি ৫০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা উঠানো হয়। এছাড়াও যে সকল জাহাজ মাঝির ঘাট নৌ পথে চলাচল করে তাদের কাছ থেকে স্পীড বোট দিয়ে চাঁদা আদায় করা হয়। কাঙ্খিত পরিমানের চাইতে চাঁদা কম হলে নির্যাতনের শিকার হতে হয় অনেককে। এমন অভিযোগে এসআই মমিনকে বদলী করেছে কর্তৃপক্ষ। এই সংবাদে খুশি হয়েছে নৌ-পথে চলাচলকারী সকল মহল। এই বিষয়ে মাঝির ঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ১৫ দিন হলো এই ফাঁড়িতে যোগদান করেছি। শুরু থেকেই চাঁদা আদায়ের বিপক্ষে কাজ করতেছি। পুলিশের দ্বারা নৌ-পথে চাঁদা আদায়ের বিষয়ে অভিযোগ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করি। কাকে বদলি করলে চাঁদা আদায় বন্ধ হবে সেই মোতাবেক উপর থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এই বিষয়ে চাঁদপুর নৌ-পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি মো. কামরুজ্জামান বলেন, দৌলদিয়া আমাদের অধিক্ষেত্র না। সেখান থেকে কেউ পুলিশের কথা বলে চাঁদা তুললে তার দায়ভার তারাই বহন করবে। তবে চাঁদপুর নৌ-পুলিশের অধিক্ষেত্রে কোন চাঁদাবাজীর বিষয়ে আপষ করা হবে না। ইতোমধ্যে মাঝির ঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মমিনকে বদলী করা হয়েছে। এছাড়াও অন্য সকল অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।
কিউএনবি/অনিমা/৩০ জানুয়ারী ২০২৪,/বিকাল ৪:০১